Malda TMC: বাঁশ কাটার ভিডিয়ো দেখিয়ে ‘হুমকি’ তৃণমূলের! জেলা নেতৃত্ব বলছে ‘মজা করতে পোস্ট’
Malda: ভিডিয়োয় একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, বিরোধীরা ভোটের সময়ে এলাকায় অত্যাচার করেছে। সেই অত্যাচারের হাত থেকে 'তৃণমূলের সেনাবাহিনী'কে রক্ষা করতেই এই প্রস্তুতি। ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
মালদা: পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের আগে শাসক দলের প্রস্তুতি। প্রস্তুতি চালাচ্ছে ‘তৃণমূলের সেনাবাহিনী’। কাঁচা বাঁশ কেটে চলছে ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই সেই দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি মালদার হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের। সাইদুল আলম নামে এক স্থানীয় তৃণমূল নেতার ফেসবুক থেকে সেই ভিডিয়ো লাইভ শেয়ার করা হয়েছে। ঘটনার যে ভিডিয়োগুলি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা আফজল হোসেনকেও। একটি চেয়ারে বসে তিনি বাঁশ কাটায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ভিডিয়োয় একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, বিরোধীরা ভোটের সময়ে এলাকায় অত্যাচার করেছে। সেই অত্যাচারের হাত থেকে ‘তৃণমূলের সেনাবাহিনী’কে রক্ষা করতেই এই প্রস্তুতি। ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
উল্লেখ্য, হরিশচন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ২১টি আসন রয়েছে। আগামিকাল সেখানে বোর্ড গঠন। পঞ্চায়েত সমিতির হিসেব নিকেশ হল তৃণমূলের দখলে ১০টি আসন। আর বাম-কংগ্রেস মিলিতভাবে পেয়েছে ১১টি আসন। সেক্ষেত্রে স্থানীয় সমীকরণ ও পাটিগণিতের হিসেবে এই পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের হাতছাড়া হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমন অবস্থায় তৃণমূলের কর্মীদের এই বাঁশ কাটার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নিয়ে কড়া সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধীরা। এলাকায় গন্ডগোল পাকানোর উদ্দেশেই এই প্রস্তুতি বলে খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরা।
জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় কটাক্ষের সুরে বলছেন, ‘এই রকম পোস্ট তৃণমূলই করতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। চোখের সামনে ব্যালট লুঠ করতে পারে, প্রার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে যেতে পারে। তাহলে এভাবে হুমকি ওরা দেবে না তো কারা দেবে? ওরা হুমকি দেবে, সন্ত্রাস চালাবে আর পুলিশ গালে হাত রেখে বসে বসে দেখবে, না হয় ফাইল নিয়ে লুকোবে।’
খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিজেপিও। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলছেন, ‘তৃণমূল যে সন্ত্রাসের রাজনীতিতেই বিশ্বাস করে, তার স্পষ্ট প্রমাণ এই ঘটনা। গোটা পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কী করেছে, তা সবার কাছেই পরিষ্কার।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিয়ো নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে শাসক দলের জেলা মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলছেন, ‘কে ব্যক্তিগতভাবে মজা করতে ফেসবুকে কী পোস্ট করল, তা নিয়ে দলের ভাবনা নেই। কাঁচা হোক বা পাকা… বাঁশ নিয়ে রাজনীতি তৃণমূল করে না। উন্নয়নের স্বার্থে মানুষের পাশে থাকে।’