Jibankrishna Saha: কালো গাড়ির রহস্য! জীবনের বাড়িতে তল্লাশির আগে চরকিপাক মারছিল দুটি গাড়ি

Jibankrishna Saha: নথিলোপাট নাকি অন্য কিছু? উঠছে প্রশ্ন। মামাবাড়ি কিংবা গ্রামের লোক জন কী বলছেন? TV9 বাংলার প্রতিনিধি পৌঁছে গিয়েছিলেন সেখানে।

Jibankrishna Saha: কালো গাড়ির রহস্য! জীবনের বাড়িতে তল্লাশির আগে চরকিপাক মারছিল দুটি গাড়ি
জীবনকৃষ্ণ সাহার মামাবাড়িতে গাড়ি রহস্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 20, 2023 | 3:51 PM

বড়ঞা: বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা আপাতত শ্রীঘরে। কিন্তু তিনি যে স্কুলে কর্মরত ছিলেন সেখানে আর তাঁর মামাবাড়িতে রহস্যময় গাড়ির আনাগোনা করছে কয়েকদিন ধরে। এমনটাই জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। জীবনের মামাবাড়ি টেকেড্ডা গ্রামে। জানা যাচ্ছে, সিবিআই তল্লাশির শুরুর আগের দিন মধ্যরাতে তাঁর মামাবাড়িতে গিয়েছিল দুটি গাড়ি। কী কারণে? প্রশ্ন উঠছে। এদিকে, আবার দেবগ্রামে স্কুলে কয়েকদিন আগে হঠাৎই গিয়েছিল দুটি গাড়ি। অভিযোগ, এমনিতেই তাঁকে খুব একটা স্কুলে যেতে দেখা যায় না। কিন্তু সেদিন দুটি গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন বড়ঞার বিধায়ক। কেন? নথি লোপাট নাকি অন্য কিছু? উঠছে প্রশ্ন। মামাবাড়ি কিংবা গ্রামের লোক জন কী বলছেন? TV9 বাংলার প্রতিনিধি পৌঁছে গিয়েছিলেন সেখানে।

মামাবাড়িরই এক প্রতিবেশী গোবর্ধন ফুলমালী বলেন, “দুটো কালো গাড়ি এসেছিল। কেন তা বলতে পারব না। আমরা কী করেই বা জানব। কিছুক্ষণ পর আবার গাড়ি দুটো চলে যেতেও দেখলাম। তখন রাত সাড়ে দশটা হবে।” অথচ মামাবাড়ির এক সদস্যা বলেন, “না না এখানে কোনও গাড়ি আসেনি। জীবন সাহা এখানে কোনওদিন আসতই না। আমাদের ভাগ্না অস্বীকার করব না। কিন্তু এখানে আসত না।”

পৌঁছে যাওয়া হয়েছিল জীবনের দেবগ্রাম হাইস্কুলেও। ওই স্কুলেই শিক্ষকতা করতেন তিনি। জানা যাচ্ছে, সিবিআই হানা দেওয়ার দুদিন আগেই কালো গাড়ি নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন বিধায়ক। তবে স্কুলের তরফ থেকে কিচ্ছু বলা হয়নি। প্রশ্ন উঠছে, বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারির পর থেকেই কি কোনওভাবে সতর্ক হয়ে গিয়েছিলেন জীবন? তিনি কি বুঝতে পেরেছিলেন, যে কোনও সময়েই হানা দিতে পারে সিবিআই। তাই বিপদ বুঝে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছিলেন তিনি? প্রশ্ন থাকছেই।

এদিকে, আবার জীবনের বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ রয়েছে। খাতায় কলমে বীরভূমের নানুরের দেবগ্রাম হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষক ছিলেন জীবন। কিন্তু অভিযোগ, তিনি এক দিন হয়তো মেরেকেটে স্কুলে গিয়েছেন। কিন্তু ঠিক সময়ে বেতন নিতেন, তুলতেন বিধায়কের ভাতাও। আপাতত জীবন জেলে, তাঁকে জেরা করে দুর্নীতির পরিধিটা মেপে নিতে চাইছেন তদন্তকারীরা।