বিরোধীদের সমর্থনে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের সদস্য!
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে তৃণমূল দলের তরফে প্রস্তাব করা হয়েছিল নাজমা সুলতানার নাম। কিন্তু তাঁর বিরোধিতা করেন ঘাসফুলের টিকিটে জয়ী সুলতানা খাতুন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদে লড়াই হয় তৃণমূলের টিকিটে জয়ী দুই প্রার্থীর মধ্যে।
বড়ঞাঁ: পঞ্চায়েত ভোট নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সামনে এসেছিল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের সময়ও সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটার নাম নেই। বোর্ড গঠন ঘিরে এ বার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা সামনে এল মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞাঁয়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচন ঘিরে কোন্দলে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। এর জেরে বিরোধীদের সহায়তায় দলের মনোনীত প্রার্থীকে হারিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হলেন তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর প্রার্থী। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে বড়ঞাঁর রাজনৈতিক মহলে।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে তৃণমূল দলের তরফে প্রস্তাব করা হয়েছিল নাজমা সুলতানার নাম। কিন্তু তাঁর বিরোধিতা করেন ঘাসফুলের টিকিটে জয়ী সুলতানা খাতুন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদে লড়াই হয় তৃণমূলের টিকিটে জয়ী দুই প্রার্থীর মধ্যে।
তৃণমূলের দলীয় প্রার্থী নাজমার পক্ষে ভোট দেন তৃণমূল কংগ্রেসের ১৫ জন সদস্য৷ অন্যদিকে সুলতানার পক্ষে তৃণমূলের ৬ জন সদস্য ছাড়াও ভোট দেন কংগ্রেসের ৮ জন, বিজেপির ৭ জন এবং বামফ্রন্টের ২ জন সদস্য। মোট ৩৮ আসনের বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে ২৩-১৫ ভোটে জয়ী হয়ে সভাপতি নির্বাচত হন সুলতানা খাতুন। অন্যদিকে সহ-সভাপতি আসনেও ভোটাভুটি হয়েছে। এই পঞ্চায়েত সমিতিতে ২২ ভোট পেয়ে সহ সভাপতি হয়েছেন বিজেপির সুজিত পাত্র।
ঘটনা নিয়ে স্থানীয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বলেছেন, “ব্লক সভাপতি হিসাবে আমি চেষ্টা করেছিলাম সবাইকে এক করতে। তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী এক জন বিরোধীদের সমর্থনে জয়ী হয়েছে। বিজেপির এক প্রার্থীর নাম সহ সভাপতি হিসাবে প্রস্তাব করা হয়েছে। যা খুবই হতাশাজনক। আমি বিষয়টি জেলার নেতৃত্বকে জানাবো।”