Nadia Wrong Treatment: ‘গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে ২ মাস আগেই, কিন্তু ডাক্তার বলে যাচ্ছিলেন বেবি সুস্থ’, অতঃপর ভয়ঙ্কর পরিণতি
Nadia Wrong Treatment: অভিযোগ, ওই হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকের গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে গর্ভস্থ বাচ্চার। রানাঘাট ১২নম্বর ওয়ার্ডের প্রসূতি পূজা রায়ের গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বেশ কিছু দিন আগেই।
নদিয়া: নিয়মিত পরীক্ষা করাতে যেতেন। চিকিৎসকরা তাঁকে দেখতেনও। কিন্তু গর্ভস্থ সন্তানের যে মৃত্যু হয়েছে পেটেই, তা জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। শেষমেশ বাড়িতে পেট ব্যথা, অন্যত্র আলট্রাসনোগ্রাফি করানো হলে, দেখা যায় গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগেই। অপারেশন করেই সেই মৃত বাচ্চাকে বার করতে হয়। প্রসূতির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ভয়ঙ্কর অভিযোগ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ রানাঘাটের একটি নার্সিংহোমের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রোগীর বাড়ির আত্মীয়রা ভাঙচুর চালান নার্সিংহোমে।
অভিযোগ, ওই হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকের গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে গর্ভস্থ বাচ্চার। রানাঘাট ১২নম্বর ওয়ার্ডের প্রসূতি পূজা রায়ের গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বেশ কিছু দিন আগেই। ওই বেসরকারি হাসপাতালে বার বার পরীক্ষা করা সত্ত্বেও চিকিৎসকদের তরফে কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ।
কিছুদিন পর প্রসূতির পেটে ব্যথা হওয়ার কারণে আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। দেখা যায়, গর্ভস্থ অবস্থাতেই অনেক আগে মৃত্যু হয়েছে বাচ্চার। এরপর মৃত বাচ্চাকে অপারেশন করে গর্ভ থেকে বের করা হয়। চিকিৎসকরাই জানাচ্ছেন, বর্তমানে পূজা রায়ের শারীরিক অবস্থাও সঙ্কটজনক। তিনি বর্তমানে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন পরিবারের সদস্যরা। সোমবার নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোভও দেখান রোগীর আত্মীয় পরিজনরা। অভিযোগ,নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালানো হয়। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে ওই অভিযুক্ত চিকিৎসককে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ।
রোগীর পরিবারের এক সদস্যের অভিযোগ, “বাচ্চাটা ২ মাস আগেই পেটে মারা গিয়েছে। কিন্তু ডাক্তার বলে যাচ্ছিলেন বেবি সুস্থ। রিপোর্ট করতে দিয়েছিল। কালকে ছবি করে দেখা গেল, বাচ্চাটা মারা গিয়েছে। কী বলা যায় আর। আমাদের বিচার চাই।”
নার্সিংহোমের এক নার্সের বক্তব্য, “এত বছর আমরা এখানে কাজ করছি, কখনও এরকম ঘটনা ঘটেনি। কালকে রিপোর্ট করে বলছে, বাচ্চাটা মারা গিয়েছে। এখানেই ওদের ভর্তি করার কথা ছিল। কিন্তু না করিয়ে মাঝে অন্য জায়গায় ডাক্তার দেখিয়েছে। এখন আমাদের ওপর দায় দিচ্ছে।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রানাঘাট থানার পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।