Bratya Basu on Jadavpur University: র‍্যাগিং-বিরোধী গাইডলাইন কেন কার্যকর হল না? বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকেই দায় ঠেললেন ব্রাত্য

Bratya Basu on Jadavpur University: বুধবার নদিয়ার বগুলায় মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

Bratya Basu on Jadavpur University: র‍্যাগিং-বিরোধী গাইডলাইন কেন কার্যকর হল না? বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকেই দায় ঠেললেন ব্রাত্য
নদিয়ায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2023 | 4:47 PM

নদিয়া: ‘আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলাম, কার্যকর করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ’, র‍্যাগিং-বিরোধী গাইডলাইন নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ব্রাত্যর দাবি, যাদবপুরের স্বশাসনে কখনই হস্তক্ষেপ করতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, তাই কোনও পদক্ষেপও করা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার নদিয়াপ বগুলায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত ছাত্রের বাড়িতে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেই দলেই ছিলেন ব্রাত্য। পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর বেরিয়ে তিনি দাবি করেন, মৃত ছাত্রের পরিবার এখন একজনের ওপরেই আস্থা রাখছেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের মৃত্যুর কারণ হিসেবে এদিন র‍্যাগিং-এর কথা উল্লেখ করেছেন ব্রাত্য বসুও। তিনি বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে ওই ছাত্রের বাবা-মা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলেন ছেলেকে। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটবে, তাঁরা ভাবতেও পারেননি। গোটা পরিবারটা বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন ব্রাত্য।

২০০২ সালে র‍্যাগিং-বিরোধী গাইডলাইন তৈরি হলেও কেন বিশ্ববিদ্যালয় তা কার্যকর করেনি, সেই প্রশ্ন করা হলে, ব্রাত্য বলেন,  ২০০৩ সাল থেকে কেন কার্যকর হল না, তার উত্তর আমরা দিতে পারি না। তাঁর দাবি, গাইডলাইন দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে সরকার, কিন্তু তা কার্যকর করার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। এত বছর ধরে কার্যকর না হওয়া সত্ত্বেও কেন কোনও ব্যবস্থা নিল না সরকার? এর উত্তরে ব্রাত্য বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময়েই চেয়েছিলেন যাদবপুরে স্বশাসন বজায় থাকুক, তাতে যেন কোনও ব্যাঘাত না ঘটে।

একই সঙ্গে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের দিকে ফের একবার আঙুল তুলেছেন ব্রাত্য বসু। তাঁর দাবি, যাদবপুরকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছেন রাজ্যপাল। ব্রাত্য বলেন, ‘রাজ্যপালের সুমতি হোক, বোধোদয় হোক। যেটুকু মানবিকতা অবশিষ্ট আছে, সেটুকু বাঁচিয়ে রাখুন।’

এদিন পাঁচ সদস্যের যে প্রতিনিধি দল নদিয়ায় গিয়েছিল, তাতে ব্রাত্য বসু ছাড়াও ছিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও শশী পাঁজা, ছিলেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ।