Jadavpur University: নাবালক যাদবপুরের মৃত ছাত্র, পকসো আইনে মামলার পথে শিশু সুরক্ষা কমিশন
Jadavpur University: অন্যন্যা দেবীর দাবি, ২০১৮ সালে তৎকালীন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস সিসিটিভি বসাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, ক্যাম্পাসের ‘দাদা’ ও অধ্যাপকদের চাপেই তিনি তা করতে পারেননি।
নদিয়া: ১৮ বছর হয়নি যাদবপুরের (Jadavpur University) বাংলা বিভাগের মৃত পড়ুয়ার। সে কারণেই এবার পকসো আইনে মামলা হবে বলে জানালেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী। এদিনই মৃত ছাত্রের মামার বাড়িতে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন অনন্যা দেবী। তাঁর সূত্রেই জানতে পেরেছেন যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ওই ছাত্র নাবালক ছিল। শীঘ্রই এ কথা পুলিশকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই অনুযায়ী এবার তদন্ত হবে। ঘটনা গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের বিরুদ্ধেও হবে পকসো আইনে মামলা। হস্টেলে যাওয়ার পর থেকেই ওই ছাত্রের যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলেও দাবি অনন্য দেবীর। গায়ে মিলেছে সিগারেটের ছ্যাঁকার দাগ। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যবস্থা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “ঘটনাটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ওকে উলঙ্গ অবস্থায় পাওয়া যায়, ওর গায়ের নানা জায়গায় সিগারেটের ছ্যাঁকার দাগও ছিল। ওকে নির্মমভাবে মারা হয়েছে। ওর শেষকৃত্যের সময় যখন ঘি মাখানো হচ্ছিল তখন ওর মা-বাবও সেই সমস্ত মারধরের দাগ দেখেছেন। ও বাড়িতেও ফোন করে বলেছিল ওকে বারবার সমকামী। সুতরাং এটা পরিষ্কার যৌন নির্যাতনের ঘটনা। যেহেতু ওর ১৮ বছর বয়স হয়নি তাই এটা পকসো কেস। কেউই এটা জানতো না যে ও এখনও প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি। এমনকী যৌন নির্যাতনের ঘটনাও ঠিক করে বোঝা যায়নি। তাই ওর নাম, পরিচয় সবই সামনে এসে গিয়েছে। কিন্তু, আমরা আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি ওর নামটা আর দেবেন না। কারণ ও নাবালক। ওর সম্মানের একটা ব্যাপার আছে।”
এদিনই তাঁরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান। কথা বলেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। তবে কেন বারবার বলার পরেও যাদবপুরে সিসিটিভি বসানো হল না, কেন দীর্ঘদিন কর্তৃপক্ষের লোকজন উদাসীন ছিলেন সেই প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন অনন্যা দেবী। প্রশ্ন তুলেছেন অধ্যাপকদের ভূমিকা নিয়েও। সাফ বলেন, “ওখানে সিসিটিভি নেই, রেজিস্ট্রার ঠিক মতো থাকে না। এটা অমার্জনীয় অপরাধ। ওখানে হস্টেলে মাস্তানি, দাদাগিরি, আঁতলামি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। ওরা মনে করে ওরা সব আইনের ঊর্ধ্বে। এটা হতে পারে না। যাতে এরকম ঘটনা আর না ঘটে। সেদিকে আমাদের নজর থাকবে। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।”
অন্যন্যা দেবীর দাবি, ২০১৮ সালে তৎকালীন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস সিসিটিভি বসাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, ক্যাম্পাসের ‘দাদা’ ও অধ্যাপকদের চাপেই তিনি তা করতে পারেননি। রীতিমতো ক্ষোভের সুরে অন্যন্যা দেবী বলেন, “সুরঞ্জন দাস সিসিটিভি বসাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কেউ বসাতে দেননি। ওখানকার অধ্যাপক, ছাত্ররা প্রতিবাদ করেছিল এই সিদ্ধান্তের। উল্টে ওনাকে হেয় করা হয়েছিল। আজ সিসিটিভি থাকলে অন্তত এটা জানা যেত ওই হস্টেলে কে বা কারা ঢুকছে, বের হচ্ছে।”