Rail Service: মদনপুরে রেল অবরোধ, নৈহাটি-হালিশহর-শ্যামনগরে পর পর দাঁড়িয়ে ট্রেন, চরম ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের
Madanpur: রানাঘাট শিয়ালদহে একাধিক গ্যালোপিন ট্রেন মদনপুর স্টেশনে দাঁড়ায় না বলে অভিযোগ। যাত্রীদের দাবি, অফিস টাইমে একটা গ্যালপ ট্রেন স্টেশনে না দাঁড়ানো মানে অনেকটাই ক্ষতি।
নদিয়া: রেললাইনে নেমে অবরোধ। তার জেরে ভোগান্তি অফিস যাত্রীদের। মঙ্গলবার সকালে নদিয়ার মদনপুর রেলস্টেশনে নেমে বিক্ষোভ দেখান নিত্যযাত্রীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, একাধিক ট্রেন মদনপুরে দাঁড়ায় না। তার জেরে সমস্যায় পড়তে হয়। তারই প্রতিবাদে এদিন পথে নামেন তাঁরা। তবে একেবারে অফিস টাইমে এই বিক্ষোভের জেরে একের পর এক ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে শান্তিপুর, রানাঘাট-সহ একাধিক স্টেশনে। আপ ও ডাউন উভয় লাইনেই সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। প্রায় ৪ ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে।
রানাঘাট শিয়ালদহে একাধিক গ্যালোপিন ট্রেন মদনপুর স্টেশনে দাঁড়ায় না বলে অভিযোগ। যাত্রীদের দাবি, অফিস টাইমে একটা গ্যালপ ট্রেন স্টেশনে না দাঁড়ানো মানে অনেকটাই ক্ষতি। আগে পড়ে একাধিক স্টেশনে দাঁড়ালেও কেন মদনপুরে তা দাঁড়াবে না তা নিয়ে এদিন সরব হন যাত্রীরা।
অফিসযাত্রীদের সঙ্গে সোচ্চার হন সবজি বিক্রেতারাও। তাঁদের দাবি, ওই ট্রেন মদনপুরে দাঁড়ালে তাঁদের যাতায়াতে সুবিধা হয়। স্টেশন মাস্টারকে বারবার জানিয়েও কাজ না হওয়ায় তাঁরা ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখান মঙ্গলবার। একইসঙ্গে ৯ বগি ট্রেনের পরিবর্তে ১২ বগি ট্রেনেরও দাবি করেন তাঁরা। এক রেলযাত্রীর কথায়, “দীর্ঘদিন ধরে এই অরাজকতা চলছে। তাই বাধ্য হয়ে ট্রেন অবরোধে শামিল হয়েছি।” এই অবরোধের প্রভাব পড়ে রানাঘাট-শিয়ালদহ শাখায়। সমস্যা পড়ে স্কুল, কলেজের ছাত্র ছাত্রীরাও। ঘটনাস্থলে রেল পুলিশ এলে তাঁদের ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। যাত্রীদের দাবি, লিখিত দিতে হবে স্টেশন মাস্টারকে। এরপরই তাঁরা বিক্ষোভ তুলবেন।
এদিকে মদনপুরে ট্রেন অবোরোধের জেরে শিয়ালদহ মেন শাখায় কাঁকিনাড়া, নৈহাটি, শ্যামনগর, হালিশহর-সহ বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রতিটি ট্রেনই কমপক্ষে ৩০ মিনিট দেরিতে চলছে। ডাউনে লাইন থেকেও আপ লাইনের যাত্রীদের দুর্ভোগ বেশি হয় এদিন। এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র বলেন, “মদনপুরে ৭টা ৪৫ মিনিটে একটা ইএমইউ লোকাল চালানো হয়। ওদের দাবি, মেমু লোকাল দিতে হবে। তাতে কোচের সংখ্যা বেশি হবে। আর এর পিছনে একটা গ্যালপ থাকে। সেটা নিয়েও বিরোধিতা। তবে এভাবে সাধারণ যাত্রীদের বিপদে ফেলে তো লাভ নেই। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটাতে হবে।”