Murder: Murder: ‘বউকে মেরে ফেলেছি…’, থানায় এসে বললেন ডাক্তার
Murder: চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্ডবঘটা গ্রামে। এই গ্রামের থাকেন বছর আঠাশের অরিন্দম বালা। পেশায় ডাক্তার।
বাগদা: স্ত্রীকে নিয়ে রাতে বাড়ি ঢুকেছিল। বাবা-ভাইকে খেতেও বলেছিল। সকালে দোতলা থেকে নেমে জানায় নিজে হাতে খুন (Murder) করেছে স্ত্রীকে। ছেলের মুখে এ কথা শুনে প্রথমে তো নিজের কানকে বিশ্বাসই করতে পারেননি বাবা। কিন্তু, ছেলের রুদ্রমূর্তি দেখে ধীরে ধীরে সবটা বুঝতে পারেন। এরইমধ্যে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে ছেলে। কবুল করেন দোষ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্ডবঘটা গ্রামে।
এই গ্রামের থাকেন বছর আঠাশের অরিন্দম বালা। পেশায় ডাক্তার। বর্তমানে কলকাতা পি জি হাসপাতাল থেকে এম ডি করছেন। বছর দু’য়েক আগে তাঁর বিয়ে হয় নীলগঞ্জের বছর পঁচিশের রত্নতমা দে-র সঙ্গে। সূত্রের খবর, বিয়ের পর থেকে অরিন্দম-রত্নতমার মধ্যে বিশেষ বনিবনা ছিল না। প্রায়শই হতো অশান্তি। সাংসারিক অশান্তির কথা জানতেন পাড়া-প্রতিবেশীরাও। কিন্তু, তাই বলে অরিন্দম এই কাজ করবেন তা ভাবতে পারছেন না কেউই।
সূত্রের খবর, স্বামীর সঙ্গে ঝামেলার জন্য দীর্ঘদিন থেকেই শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন না রত্নতমা। এরমধ্যে শনিবার রাতে স্ত্রীকে নিয়ে আচমকা বাড়ি আসেন অরিন্দম। ভাই ও বাবাকে খেতে বলে দু’জনে দোতলার ঘরে চলে যান। রবিবার সকালে ঘর থেকে বেরিয়ে জানান তিনি তাঁর স্ত্রীকে খুন করে ফেলেছেন। সোজা চলে যান বাগদা থানায়। আত্মসমর্পণ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বাগদা থানার ওসি। ইতিমধ্যেই অরিন্দমের বিরুদ্ধে খুন মামলা রুজু করেছে পুলিশ। রত্নতমার দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। এদিকে অরিন্দমের ঘরে এখনও পড়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত। খাটেও লেগে রক্ত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান কুপিয়ে খুন করা হয়েছে রত্নতমাকে।
ঘটনায় অরিন্দমের ভাই বলছেন, “ওদের বিয়ে হয়েছে ২ বছর। কিন্তু ৮ মাস ধরে বৌদি বাপের বাড়িতে থাকে। ওদের মধ্য়ে ঝামেলার জন্যই আমাদের বাড়ি থাকে না। এরইমধ্যে তো এ ঘটনা ঘটে গেল। আজ সকালে তো দাদা ঘর থেকে বেরিয়ে বলে আমি মেরে ফেলেছি আমার বউকে। আমরা গিয়ে দেখি গলা কাটা। ছুরি দিয়েই দাদা খুনটা করেছে।”