BJP in Basirhat: তৃণমূলের ভয়েই ঘর ছাড়া, শেষে তৃণমূলের উদ্যোগে বিরোধী শিবিরের ৩০ জন ফিরলেন ঘরে

BJP in Basirhat:হিঙ্গলগঞ্জে সৌজন্যের রাজনীতি! বিজেপির পরাজিত প্রার্থীদের বাড়িতে ফেরাচ্ছে তৃণমূল। ঘটনায় জোর চর্চা জেলার রাজনৈতিক মহলে।

BJP in Basirhat: তৃণমূলের ভয়েই ঘর ছাড়া, শেষে তৃণমূলের উদ্যোগে বিরোধী শিবিরের ৩০ জন ফিরলেন ঘরে
হিঙ্গলগঞ্জে সৌজন্যের রাজনীতি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2023 | 4:42 PM

বসিরহাট: শাসকদলের তাণ্ডবেই ছাড়তে হয়েছিল ঘর। ঘর ছাড়ার সময় এমনই অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। শেষে তৃণমূলের (Trinamool Congress) উদ্যোগেই তাঁরা আবার ফিরলেন ঘরে। হিঙ্গলগঞ্জে দেখা গেল এমনই সৌজন্যের রাজনীতি। বিজেপির পরাজিত প্রার্থীদের বাড়িতেও গেলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম সভায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিরোধীরা। দিকে দিকে পরাজিত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। অভিযোগ, ফল বের হওয়ার পর থেকেই বিরোধী শিবিরের প্রার্থীদের উপর চড়াও হচ্ছিলেন শাসকদলের কর্মী সমর্থকেরা। নানাভাবে তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছিল। সে ভয়েই অনেকে ছেড়ে ছিলেন ঘর। 

ঘর ছেড়ে ছিলেন হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বরূপকাটি পূর্ব পাড়ার ১৫০ নম্বর বুথের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী মাধবী মণ্ডল ও তাঁর স্বামী। সঙ্গে ছিল ছেলে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, এলাকার তৃণমূল কর্মীরাই তাঁদের লাগাতার শাসানি দিচ্ছিল। ভাঙচুর চলেছে বাড়িতে। চাষের কাজেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে বিজেপির কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম তাঁদের বাড়িতে যায়। যদিও তাঁদের তোলা অভিযোগ মানতে নারাজ শাসক তৃণমূল। 

এরইমধ্যে তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার মহিলা সংগঠনের সভাপতি অর্চনা মৃধা ও তৃণমূলের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক সভাপতি তথা হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থী শহিদুল্লাহ্ গাজীরা তাঁদের বাড়িতে যান। সঙ্গে ছিলেন দলের বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক। ওই বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ছাড়াও এলাকার আরও বেশ কিছু বিজেপি কর্মীদের বাড়ি যান তাঁরা। কথা বলেন এলাকার বাসিন্দাদের। সকলে যাতে নির্ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন সেই আশ্বাস দেন। তাঁদের উদ্যোগেই এদিন এলাকার ৩০ জন ঘর ছাড়া বাসিন্দা বাড়িতে ফেরেন। 

পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী শহীদুল্লাহ গাজী বলেন, “৬-৭টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু, বিজেপির লোকজন সংখ্যাটা বাড়িয়ে ৪০-৫০ করে দিচ্ছে। বিজেপির প্রতিনিধি দলকেও এসব দেখানো হচ্ছে। তবে পুরোটাই মিথ্যা অভিযোগ। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠেই এখানে শাসক ও বিরোধী সবাই একসঙ্গেই থাকি।” ঘরে ফেরা বিজেপি প্রার্থী মাধবী মণ্ডল বলছেন,”ঝামেলার পর থেকে আমরা সবাই ঘর ছাড়া ছিলাম। তৃণমূলের লোকজনই এখন ঘরে এসে বলে গিয়েছে সবাই যাঁরা বাইরে আছে তাঁরা যেন নির্ভয়ে ঘরে ফেরে। তারপরই আমরা ঘরে ফিরেছি।”