Sim Box: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার ১৩টি সিমবক্স, কীভাবে কাজ করে সাইবার জালিয়াতদের এই ‘অস্ত্র’?
Cyber Fraud: কী কারণে এতগুলি সিমবক্স ওই ব্যক্তির কাছে ছিল, সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অফিসাররা। সিমবক্সের কাজ হল অনেকটা টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মতো। কিন্তু পুরোটাই বেআইনি।
বসিরহাট: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় ফের উদ্ধার সিমবক্সের সেট। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের স্বরূপনগরে সীমান্তবর্তী এলাকায় এক বিশেষ অভিযানে আন্তর্জাতিক জালিয়াতি চক্রের পর্দাফাঁস করল রাজ্যের স্পেশাল টাক্স ফোর্স। উদ্ধার হয়েছে ১৩টি সিমবক্স মেশিন। এছাড়া প্রায় ৬০০টি বেনামি সিম কার্ড ও বেশ কিছু ইন্টারনেট রাউটারও বাজেয়াপ্ত করেছেন এসটিএফ-এর অফিসাররা। বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রীর মোট বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে কবির দফাদার নামে বছর ৪৭-এর এক ব্যক্তিকে। ধৃতের বাড়ি স্বরূপনগর থানা এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী দহরকন্দা গ্রামে। এসটিএফ গোয়েন্দাদের সন্দেহ, ধৃত ওই ব্যক্তি এই আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত।
কী কারণে এতগুলি সিমবক্স ওই ব্যক্তির কাছে ছিল, সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অফিসাররা। সিমবক্সের কাজ হল অনেকটা টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মতো। কিন্তু পুরোটাই বেআইনি। সাইবার প্রতারণার দুনিয়ায় সিমবক্স জিনিসটি প্রতারকদের অন্যতম একটি অস্ত্র। এই বিশেষ যন্ত্রের কাজ হল, বিদেশি কোনও নম্বরকে লোকাল নম্বরে পরিবর্তন করে দেওয়া। অর্থাৎ, বিষয়টি এমন যে আপনার মোবাইলে কোনও বিদেশি নম্বর থেকে ফোন আসছে। সাধারণভাবে সেখানে সংশ্লিষ্ট দেশের কোড দেখানোর কথা। কিন্তু সিমবক্স ব্যবহার করে বিদেশি নম্বর থেকে ফোন করা হলে, আপনি টেরই পাবেন না ওটি কোনও বিদেশি নম্বর। কারণ, আপনার মোবাইলের ডিসপ্লে-তে যে নম্বর দেখা যাবে, সেটি একটি দেশীয় নম্বর। ফলে মানুষকে বোকা বানিয়ে অনায়াসের নিজেদের কাজ হাসিল করে নিতে পারে প্রতারকদের দল।
জানা যাচ্ছে, গত ১১ অগস্ট হাওড়ার মালিপাঁচঘড়া থানা এলাকায় একটি মামলা হয়েছিল। টেলিগ্রাফ আইন, ওয়ারলেস টেলিগ্রাফি আইন সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা হয়েছিল। সেই মামলার তদন্তভার যায় এসটিএফ-এর হাতে। সেই সূত্র ধরেই বসিরহাটে হানা দিয়ে এই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। কিছুদিন আগে ওই ঘটনায় এক বাংলাদেশি-সহ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।