Hasnadabad: নথি জাল করে ১ কোটির বেশি টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠল মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে
Hasnadabad: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরাহাটের হাসনাবাদ ব্লকের ভেবিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোবদেপোতা সিনিয়র মাদ্রাসার ঘটনা। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন নুরুল আমিন ওই মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মী মেহেদী হাসান মোল্লার বিরুদ্ধে কন্যাশ্রী দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন।
হাসানাবাদ: টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগ আকছাড় খবরে এসেছে। এমনকী, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মামলা-মকোদ্দমা চলছে নিত্যদিন। কিন্তু এরপরও ভ্রুক্ষেপ হচ্ছে? হাসনাবাদে মাদ্রাসার প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠল। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নুরুল আমিন।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরাহাটের হাসনাবাদ ব্লকের ভেবিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোবদেপোতা সিনিয়র মাদ্রাসার ঘটনা। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন নুরুল আমিন ওই মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মী মেহেদী হাসান মোল্লার বিরুদ্ধে কন্যাশ্রী দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু সেই সময় কন্যাশ্রীর দায়িত্বে ছিলেন নুরুল আমিন নিজেই। এরপর সেই অভিযোগ উড়িয়ে প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই কোটি টাকার অভিযোগ করলেন বর্তমান প্রধান শিক্ষক।
অভিযোগ ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ওই মাদ্রাসার দায়িত্বে ছিলেন নরুল আমিন। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার দায়িত্বে রয়েছেন রবিউল ইসলাম মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, এক মাদ্রাসা থেকে অন্য মাদ্রাসায় স্থানান্তরিত হওয়ার সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে কোন খাতে কত ব্যয় হয়েছে সেই তথ্য তুলে দেননি। রবিউল ইসলামের দাবি অর্থের পরিমাণ প্রায় এক কোটি সত্তর লক্ষ টাকা। এখানেই শেষ নয়, অন্য মাদ্রাসায় ট্রান্সফার নেওয়ার পরও নথি জাল করে পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে দেড় লক্ষ টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠেছে।
প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম মণ্ডল বলেন, “চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছেন। কারণ ওই সময় দায়িত্বে নুরুল আহমেদ ছিলেন। যদি সেই সময় দুর্নীতি হয় ওনার উচিৎ ছিল তখনই জানানো। এখন চলে যাওয়ার পর মাদ্রাসাকে কলঙ্কিত করছেন।” অপরদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে নরুল আমিন বলেন, “রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতেই এইসব কথা বলা হচ্ছে। ওই সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না।”