TMC Leader Murder: অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে দেখা করে ফিরছিলেন বাড়ি, ভোররাতে তৃণমূলের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যকে পরপর গুলি বসিরহাটে
TMC Leader Murder: কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হল তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এর পিছনে রয়েছে রাজনীতিই।
বসিরহাট: সেই পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু হয়েছে হিংসা, হানাহানি। ভোট পেরেয়ি বোর্ড গঠনেও রাজ্য জুড়ে দেখা গিয়েছে একই ছবি। দিকে দিকে হিংসা, রক্তপাত। এরইমধ্যে এবার রক্তপাত বসিরহাটে (Basirhat)। তৃণমূলের (Trinamool Congress) দাপুটে নেতাকে পর পর গুলি দুষ্কৃতীদের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু। বসিরহাটের হাড়োয়া থানার খাসবালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামলা এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। খুন হয়ে গিয়েছেন সামলা বাজার এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কিষান-ক্ষেতমজুর সেলের হাড়োয়া এক নম্বর ব্লক সভাপতি তথা খাশবালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিহারী গ্রামের ২৪৩নং বুথের এবারের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য ৩৮ বছরের শেখ সাহেব আলী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার ভোররাতে অঞ্চল সভাপতির বাড়ি থেকে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন শেখ সাহেব। সামলা বাজারে এলাকায় আসতেই ১০ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতীদের একটি দল তাঁকে ঘিরে ধরে। বন্ঝ করে দওয়া হয় বাইক। তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়া হয়। গুলি লাগতেই ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। দুটি গুলি লাগে তাঁর বাইকেও। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর যায় হাড়োয়া থানায়।
পুলিশই তাঁকে উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। ইতিমধ্যে তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেছে খবর খবর। ঘটনায় শোকের ছায়া সাহেবের পরিবারে। চাপা উত্তেজনা গোটা এলাকায়। কিন্তু, কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হল তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এর পিছনে রয়েছে রাজনীতিই। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁর দলের লোকজনকে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের সদস্যদের। এখনও ঘটনাস্থলে মোতায়ন রয়েছে হাড়োয়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।