Asansol Municipal Corporation: পুরনিগমের অ্যাকাউন্ট ৮৭ লক্ষ টাকার ‘গরমিল’, তদন্তের দাবি বিরোধীদের
Asansol Municipality: পুরনিগমের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের কাউন্সিলর গুলাম সরোবর বোর্ড মিটিং এ এই টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার কথা তোলেন। তাঁর অভিযোগ, কুলটি বোরো অফিসের বিভিন্ন ট্যাক্সের জমা হওয়া অর্থ বিভাগের প্রায় ৮৭ লক্ষ টাকা পুরনিগমে জমা দেয়নি ওই বিভাগের কর্মীরা।
আসানসোল: পুরনিগমের অ্যাকাউন্ট ৮৭ লক্ষ টাকার গড়মিল। ২ বছর আগের এই ঘটনার কোনও কিনারা হয়নি। করা হয়নি কোনও এফআইআর। শুধুমাত্র জেনারেল ডায়েরি করে দায় সেরেছে পুরকর্তৃপক্ষ। ঘটনার তদন্তের দাবি তুললেন বিরোধীরা। আসানসোল পুরোনিগমের কুলটি বোরো অফিস থেকে ৮৭ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যাওয়া নিয়ে পুরনিগমের বোর্ড সভায় বিরোধী আওয়াজ তুলে বিরোধী কাউন্সিলর নতুন মেয়রের নজরে আনলেন।
পুরনিগমের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের কাউন্সিলর গুলাম সরোবর বোর্ড মিটিং এ এই টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার কথা তোলেন। তাঁর অভিযোগ, কুলটি বোরো অফিসের বিভিন্ন ট্যাক্সের জমা হওয়া অর্থ বিভাগের প্রায় ৮৭ লক্ষ টাকা পুরনিগমে জমা দেয়নি ওই বিভাগের কর্মীরা। এই বিষয়ে ৩ জানুয়ারি ২০২১ সালে স্থানীয় কুলটি থানায় জেনারেল ডায়েরি হয়েছিল। এখনও কোন এফআইআর হয়নি কেন জানতে চান গুলাম। তাঁর দাবি, পুরনিগমের অর্থ বিভাগের দায়িত্বর মধ্যে পড়ে নিয়মিত পরীক্ষা করা। কিন্তু সেই দফতরের আধিকারিক বা কর্মীরা কেন তাঁর উপর নজর দেয়নি।
মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান, বোর্ড মিটিংয়ে এই অভিযোগ ওঠে। মেয়র হওয়ার বহু পূর্বে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি। বোর্ড মিটিংয়ে টাকা লোপাটের কথা ওঠার পরেই বিষয়ে তিনি জানতে পেরেছেন বলে জানান মেয়র।
বোর্ড মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এই টাকা লোপাটের ঘটনার জন্য আসানসোল পুরনিগম থানায় এসআইআর করবে। বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তেওয়ারি প্রশ্ন তোলেন, কেন এতদিন ধরে এফআইআর হল না ? শুধু কর্মী না, এর পেছনে তৃণমূল নেতাও জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন।