CBI-ED: কেন গরু পাচার মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত হবে? ভর্ৎসনা করে ইডির কাছে নথি চাইল আদালত

CBI-ED: অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের করা গরু পাচার মামলার শুনানি চলছে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে। গত ২৮ জুলাই এই মামলাটিকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানিয়েছিল ইডি।

CBI-ED: কেন গরু পাচার মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত হবে? ভর্ৎসনা করে ইডির কাছে নথি চাইল আদালত
গ্রাফিক্স - শুভ্রনীল দেImage Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 19, 2023 | 7:00 PM

আসানসোল: গরু পাচার মামলায় বাকি বিচারপর্ব দিল্লিতে সরাতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি ছিল, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে একইসঙ্গে চলবে ইডি-সিবিআইয়ের করা (ED-CBI) মামলার বিচার। আগেই এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ইডি-র আধিকারিকেরা। সেই মর্মেই গত মাসের শেষে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন জমা করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। তাতেই CBI-এর গরু পাচার তদন্তের কেস রেকর্ড ও একইসঙ্গে কোর্টে থাকা সব নথিপত্র দিল্লিতে পাঠানোর আবেদন জমা পড়েছিল বলে জানা যায়। সেই মামলার এদিন শুনানি ছিল আসানসোল সিবিআই আদালতে। সেখানেই সিবিআই বিচারকের প্রশ্নের মুখে বিড়ম্বনায় ইডি।

এদিনের শুনানিতে অংশ নেন ইডি’র আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র, অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ ও সেহগালের আইনজীবী শেখর কুন্ডু। উপস্থিত ছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য ও তাঁদের আইনজীবী রাকেশ কুমার। সূত্রের খবর, শুনানির শুরুতেই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআই ও সুশান্ত ভট্টাচার্যের কাছে জানতে চান এখনও পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় কতগুলি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে? উত্তরে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য জানান,  একটি চার্জশিট ও চারটি সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। আরও চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। এরপরই বিচারক জানতে চান, কতজন সাক্ষী রয়েছেন? সুশান্ত ভট্টাচার্য বলেন, প্রায় পাঁচশো।

এরপরেই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্রের কাছে প্রশ্ন করেন, এই মামলাটি আপনারা তদন্ত করছেন কোন অধিকারে? কেন্দ্রীয় সরকার কি আপনাদের কোনও ক্ষমতা দিয়েছে? যদি দিয়েছে তাহলে কাগজ দেখান। আপনারাই কেন তদন্ত করছেন?  NIA বা অন্য কোনও সংস্থা নয় কেন? ব্যাখ্যা করুন। এই মামলার অধিকাংশটাই এখানে ( পড়ুন সিবিআই আদালতে)। তাহলে কী করে আপনারা নিজেদের ইচ্ছে মতো কোর্টে মামলা নিয়ে যেতে চাইছেন? তাও আবার পাঁচশো সাক্ষীকে সঙ্গে করে। সূত্রের খবর, এরপরই রীতিমতো ভর্ৎসনার সুরে বিচারক বলেন, এতে বিচার হবে না। দ্রুত ট্রায়াল হবে না।

বিচারকের এই প্রশ্নবাণের কাছে কার্যত অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করেন ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র। তিনি বিচারকের কাছে সেকশন ৩, সেকশন ৪, সেকশন ৪১ এ,সেকেশন ৪৩, সেকশন ৪৯ সহ নানা উদাহরণ টানেন। কিন্তু বিচারক তাতেও সন্তুষ্ট হননি। বিচারকের একটাই প্রশ্ন, দিল্লিই কেন ? কলকাতা নয় কেন ? শুধু এনামুলের দিল্লিতে ফ্ল্যাট আছে সে কারণেই কি সিবিআই মামলা দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া যায় ? সেই কাগজ দেখান। শেষ পর্যন্ত ইডির আইনজীবী উপযুক্ত তথ্য নিয়ে আসার জন্য অনুমতি চান। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২ সেপ্টেম্বর।