Asansol: বিচারাধীন মাঠ ঘিরে দেওয়ার চেষ্টা, ADDA-র কাজ রুখে দিল গ্রামবাসী

ADDA: ৩০ বছর হতে চলল এই সাইকেল কারখানা বন্ধ। এক সময় প্রচুর যন্ত্রাংশ ছিল। সেসবও চুরি হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, জমি মাফিয়াদেরও নজর পড়েছে সে জমিতে। এরপরই সেই জমি ফিরে পেতে আদালতে যান এলাকার লোকজন।

Asansol: বিচারাধীন মাঠ ঘিরে দেওয়ার চেষ্টা, ADDA-র কাজ রুখে দিল গ্রামবাসী
কাজের শিলান্যাসের তোড়জোর। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 19, 2023 | 8:45 PM

আসানসোল: খেলার মাঠ দখলের চেষ্টার অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত আসানসোল উত্তর থানার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সেনর‍্যাল। মামলা চলছে এমন একটি মাঠ ঘিরে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তাঁরাই কাজটি আটকে দেন শনিবার। সেনর‌্যালে ছিল এশিয়ার বিখ্যাত সাইকেল কারখানা। এলাকার লোকজনের দাবি, যখন কারখানা তৈরি হয়, তখনই চুক্তি হয়, কারখানা কোনওদিন বন্ধ হয়ে গেলে জমির দাবিদার হবেন এলাকার লোকজন।

৩০ বছর হতে চলল এই সাইকেল কারখানা বন্ধ। এক সময় প্রচুর যন্ত্রাংশ ছিল। সেসবও চুরি হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, জমি মাফিয়াদেরও নজর পড়েছে সে জমিতে। এরপরই সেই জমি ফিরে পেতে আদালতে যান এলাকার লোকজন। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। তাঁদের অভিযোগ, সেনর‍্যালে কারখানার মাঠ ঘিরে ফেলার উদ্যোগ নিচ্ছে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা এডিডিএ (ADDA)। মাঠটিতে বাউন্ডারি দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। শনিবার তার শিলান্যাস ছিল। এমনকী তা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাতে হওয়ার কথা ছিল বলেও এলাকার লোকজনের দাবি।

এরপরই সকাল থেকে পথে নামেন স্থানীয় ন’ডিহা, কন্যাপুর-সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দারা। পোস্টার, ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন। জমি ঘিরতে দেবেন না বলে আওয়াজ তোলেন। পুলিশ এলেও তাঁরা তাঁদের দাবিতে অনড় ছিলেন। ফলে সেই শিলান্যাস আর হয়নি। যাননি মলয় ঘটকও। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যাম সোরেন বলেন, “আজকে মন্ত্রী আসছিলেন। ওনার সঙ্গে স্থানীয় এলাকার উন্নয়ন নিয়ে অনেক আলোচনা করার কথা ছিল। ওনার সঙ্গে কথা হল না। তবে আগামিদিনে নিশ্চয়ই মন্ত্রীকে পাব। তখন আলোচনা হবে।”

এ বিষয়ে বিধায়ক তথা এডিডিএর চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিভিন্ন সময়ে আমাদের যেমন অর্থের ব্যবস্থা থাকে সেইমতো মন্ত্রী, বিধায়কদের কাছে রিকুইজিশন চাই। দুর্গাপুর, আসানসোল, বারাবনি, কুলটির মতো এলাকায় কী কাজ আছে রিকুইজিশন চাই। আমরা টাকা বেধে দিই কতটা খরচ করতে পারব এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে। প্রতি বিধানসভাওয়াড়ি। তাতে মন্ত্রীমশাই আমাদের রিকুইজিশন দিয়েছিলেন খেলার মাঠটা ঘিরতে হবে। কয়েকটা শেডের কাজ আছে। সেই রিকুইজিশন পেয়েই যাই। এর বেশি আমরা বলতে পারব না।”