Durgapur: দুর্গাপুরে মৃত্যু নেশামুক্তি কেন্দ্রের আবাসিকের, আটক হোমের এক কর্মী
Durgapur Death: ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিজিত ভাওয়াল নামে হোমের এক কর্মীকে ইতিমধ্য়েই আটক করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। তাঁকে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দুর্গাপুর: পরিবারের একমাত্র ছেলেকে নেশার কবল থেকে মুক্ত করতে স্বাস্থ্য ও মানসিক পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন বাবা-মা। প্রায় দেড় বছর ধরে সেখানে ছিলেন সুমিত দাস। কিন্তু সুস্থ হয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না। তার আগেই মৃত্যু হল মানসিক পুনর্বাসন কেন্দ্রের ওই আবাসিকের। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের এক মানসিক পুনর্বাসন কেন্দ্রে। মৃত যুবকের বাড়ি দুর্গাপুর নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার সুভাষপল্লিতে। যুবকের হঠাৎ মৃত্যুতে ওই মানসিক পুনর্বাসন কেন্দ্রকেই কাঠগড়ায় তুলছেন পরিবারের লোকেরা। অভিযোগ তুলছেন, যুবককে ঠিকঠাক খেতে দেওয়া হত না। এমনকী মারধরও করা হত। সেই সবের জেরেই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিজিত ভাওয়াল নামে হোমের এক কর্মীকে ইতিমধ্য়েই আটক করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। তাঁকে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পরিবারের দাবি, শুক্রবার গভীর রাতে সুমিতের মামার কাছে ফোন যায় হোম থেকে। ঘড়িতে তখন রাত প্রায় দেড়টা। বলা হয়, সুমিত অসুস্থ। শ্বাসকষ্টের সমস্যা চলছে। তাই সুমিতকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানানো হয়। সুমিতের মামাকে বলা হয় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যাওয়ার জন্য। এদিকে সেই খবর পেয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছে যান তাঁরা। কিন্তু ততক্ষণে সুমিতের মৃত্যু হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, ঠিকঠাক খেতে না দেওয়ার কারণে এবং মারধর করার কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সুমিত। এদিকে, পরিবারের লোকেরা যখন হাসপাতালে পৌঁছান, তখন হোমের কাউকে দেখতে পাননি সেখানে। পরিবারের দাবি, হাসপাতালে সুমিতকে ভর্তি করে দিয়ে হোম কর্তৃপক্ষ সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে।
গতরাতের এই ঘটনার পর আজ সকালে হোমের বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকেরা। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হন হোমের আশপাশের বাসিন্দারাও। তাঁদেরও অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই হোমের ভিতর থেকে চিৎকার শুনতে পান তাঁরা। মৃতের পরিবার যে মারধরের অভিযোগ তুলছেন, সেই তত্ত্বটিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না হোমের আশপাশের বাসিন্দারা। এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশও। ইতিমধ্যেই হোমের এক কর্মীকে আটক করে দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে হোম কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।