স্ত্রীর পর স্বামী! পশ্চিম বর্ধমানে জেলা সভাধিপতি হলেন বিশ্বনাথ বাউরি

এই হ্যান্ডবুকের বিষয়ে দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, এই বদলের উদ্দেশ্য অতীতের রায়কে গুরুত্ব না দেওয়া নয়। বরং লিঙ্গ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা। যাতে আগামী দিনে আদালতের দেওয়া বিভিন্ন রায়ে এই বিষয়টি প্রতিফলিত হয়।

স্ত্রীর পর স্বামী! পশ্চিম বর্ধমানে জেলা সভাধিপতি হলেন বিশ্বনাথ বাউরি
জেলা পরিষদের শপথের অনুষ্ঠান। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2023 | 10:26 PM

আসানসোল: পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচিত হলেন বিশ্বনাথ বাউরি। ওই জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন বিষ্ণুদেও নুনিয়া। তবে এই জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদ বাউরি পরিবারের দখলে থাকল গত ৬ বছর ধরে। ২০১৭ সালে এই জেলা পরিষদ গঠিত হয়েছিল। তখন জেলা পরিষদের সভাধিপতি হয়েছিলেন বিশ্বনাথ বাউরি। ২০১৮ সালে সেই পদে বসেন বিশ্বনাথের স্ত্রী সুভদ্রা বাউরি। বুধবার ফের সেই পদে বসলেন বিশ্বনাথ। আগামী পাঁচ বছর ওই পদে থাকবেন তিনি।

বুধবার আসানসোল আদালত সংলগ্ন জেলা পরিষদ ভবন প্রাঙ্গনে নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের ১৮ সদস্যর শপথ গ্রহণ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদের উপস্থিতিতে বিশ্বনাথ বাউরি, বিষ্ণুদেও নুনিয়া, মহম্মদ আরমান সহ ১৭ সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করান অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় পাল। জেলা পরিষদ জয়ী প্রার্থী কালোবরণ মণ্ডল এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন। কেন এই গরহাজিরা তা অবশ্য শাসক দলের তরফে জানা যায়নি। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র তথা আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক সহ অন্যরা। এছাড়াও ছিলেন জেলা পরিষদের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রশান্ত রাজ শুক্লা, ডিপিআরডিও তমোজিৎ চক্রবর্তী।

দায়িত্ব নিয়ে জেলার সভাধিপতি ও সহসভাধিপতি বলেছেন, “দল যে কাজ দিল, তা যথাযথ ভাবে পালন করার চেষ্টা করব। ব্লকের মানুষেরা যাতে সরকারি পরিষেবা ঠিক মতো পান, তা দেখব।” তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেছেন, “জেলা পরিষদের নতুন বোর্ড স্বচ্ছ প্রশাসন উপহার দেবে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে গোটা এলাকায় উন্নয়নের কাজ করা হবে।” এই জেলা পরিষদের ১৮টি আসনের মধ্যে ১৮টিতেই জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস।