Self Help Groups: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর রমরমা, কাজ কোথায়? বিডিওকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ
Asansol: এদিন মহিলারা জানান, একদিকে কাজ নেই, অন্যদিকে দুর্নীতি চলছে দেদার। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গোষ্ঠীর অনেকে টাকা তছনছও করছে। এমনও অভিযোগ, অনেক মহিলাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়ে লক্ষাধিক টাকা নয়ছয় করা হয়েছে।
আসানসোল: স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে ঠিকই। তবে কাজ নেই দিনের পর দিন। এমনই অভিযোগকে সামনে রেখে বিডিও অফিসে বিক্ষোভ শতাধিক মহিলার। বিডিওকে ঘিরে ধরে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বাড়ির মেয়ে, বউরা। সোমবার রানিগঞ্জের বল্লভপুর গ্রামপঞ্চায়েতের মহিলারা এই বিক্ষোভে শামিল হন। তাঁদের অভিযোগ, ৩০০-র বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে। ৩ হাজারের বেশি সদস্য সেগুলিতে। কোনায় কোনায় স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে ঠিকই, তবে হাতে কাজ নেই। কয়েকজন কাজ পেলেও অধিকাংশকে বসে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা। রানিগঞ্জের বিডিও অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। এ নিয়ে বিডিও জানান, তিনি সমস্ত বিষয়টি লিখিত আকারে জানাতে বলেছেন।
তবে এদিন এই বিক্ষোভ কর্মসূচির জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ব্লক অফিস চত্বর। এতজন মহিলা এভাবে বিডিওকে ঘিরে ধরায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়েন তিনি। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বিডিওর বক্তব্য, তিনি লিখিতভাবে বিষয়টি জানাতে বলার পরও দীর্ঘক্ষণ মহিলারা ঘেরাও করে রাখেন। এরপরই পুলিশকে জানান।
এদিন মহিলারা জানান, একদিকে কাজ নেই, অন্যদিকে দুর্নীতি চলছে দেদার। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গোষ্ঠীর অনেকে টাকা তছনছও করছে। এমনও অভিযোগ, অনেক মহিলাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়ে লক্ষাধিক টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। আর সে কারণেই পুরনো গোষ্ঠীর মহিলারা কাজ পান। নতুনদের কাজের কোনও সুযোগ নেই। যদিও দুর্নীতির কথা মানতে নারাজ বিডিও। তিনি জানান, কাজের ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই সমস্যা আছে।
বিডিও অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “বল্লভপুর গ্রামপঞ্চায়েতের যে সংঘটা আছে, সেই সংঘর অন্তর্গত এই সমস্ত গ্রুপ। সংঘের পরিচালনার ক্ষেত্রে যা সমস্যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোও হয়েছে। প্রতি বছর আমরা ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে ওনাদের সঙ্গে বসি। তিন বছর ধরে এভাবেই চলছে। সংঘর বোর্ডে যাঁরা থাকেন, তাঁদের সঙ্গে বসে কাজের ব্যবস্থা করে দিই। তবে এ বছর তা হয়নি ভোটের কারণে। এবার তা হবে।”