Paschim Medinipur: সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে থানায় প্রতারিতরা
Paschim Medinipur: এ ঘটনায় তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়ে যাওয়ায় তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতর। তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
চন্দ্রকোনা: কাউকে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, কাউকে আবার স্বাস্থ্য দফতরের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাজার হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু, কাউকে দেওয়া হয়নি চাকরি। কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা। এবার টাকা ফেরতের দাবি তুলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হল এক যুবক। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনার। অন্যদিকে সুকান্ত খামরুই, মঙ্গল রুইদাস, মির্জা আজাদ-সহ বেশ কয়েকজন যুবক ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। চন্দ্রকোনা থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ।
তাঁদের সকলেরই অভিযোগ ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূলের জেনারেল সেক্রেটারি অর্ধেন্দু ঘোষের বিরুদ্ধে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দফায় দফায় টাকা দেওয়া হলেও মেলেনি চাকরি। তারপরই তাঁরা একাধিকবার অর্ধেন্দুকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু, মেলেনি টাকা। তারপরই প্রতারিতরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। এদিকে এ ঘটনায় তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়ে যাওয়ায় তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতর। তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, “তৃণমূল মানেই তো চোর। কোনও নেতাই নেই যে চুরি করেনি। তাই এ ঘটনায় নতুনত্ব কিছু নেই। তবে যিনি চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন, তাঁকে দ্রুত চাকরিপ্রার্থীদের টাকা ফেরত দিতে হবে। যদি ফেরত না দেন তাহলে ওঁর বাড়ি ঘেরাও করে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করব। এখন প্রশাসন কী করে দেখি।”
অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, “দল এই ধরনের বিষয় কোনওভাবেই প্রশয় দেবে না। পুলিশে অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। প্রয়োজনে দলও ব্যবস্থা নেবে।” যদিও অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতা অর্ধেন্দু ঘোষ বলছেন, চক্রান্ত হচ্ছে। তিনি কয়েকজন বন্ধুর থেকে অল্প কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন। দ্রুত তিনি তা শোধ করে দেবেন।