Minor Girl Physical Harassment: অতিরিক্ত সময় পড়ানোর নামে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ, কেশপুরে গ্রেফতার গৃহশিক্ষক

POCSO Act: বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনার পর কেশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান পরিবারের লোকজন। সেই অভিযোগ পেতেই তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই গৃহশিক্ষককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Minor Girl Physical Harassment: অতিরিক্ত সময় পড়ানোর নামে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ, কেশপুরে গ্রেফতার গৃহশিক্ষক
নাবালিকা নির্যাতনের অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2023 | 12:00 AM

কেশপুর: রাজ্যে ফের প্রশ্নের মুখে শিশুদের নিরাপত্তা। চতুর্থ শ্রেণির এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থানা এলাকায়। মাত্র ১১ বছর বয়সি ওই নাবালিকার উপর বৃহস্পতিবার সকালে যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ওই নির্যাতিতা নাবালিকা। বৃহস্পতিবার গৃহশিক্ষকের কুকীর্তির পর শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করছিল ওই ছোট্ট মেয়েটি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় এক হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।

এদিকে বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনার পর কেশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান পরিবারের লোকজন। সেই অভিযোগ পেতেই তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই গৃহশিক্ষককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের বাড়িতে পড়তে গিয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির ওই পড়ুয়া। অভিযোগ উঠছে, ওদিন সকালে অতিরিক্ত সময় পড়ানোর অজুহাতে নাবালিকাকে আরও বেশি সময় আটকে রাখে অভিযুক্ত। আর সেই সময়েই বছর এগারোর ওই নাবালিকার উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।

ঘটনার পর সেদিন বাড়ি ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল ছোট্ট ওই মেয়েটি। তখনই গোটা ঘটনার কথা জানতে পারেন বাড়ির লোকজন। ওইদিন বাড়ি ফেরার পর নির্যাতিতা নাবালিকা শারীরিকভাবেও অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেছিল। পরিবারের লোকেরা আর দেরি না করে দ্রুত তাকে নিয়ে যান স্থানীয় হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। এদিকে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর বৃহস্পতিবারই সন্ধেয় কেশপুর থানায় ওই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ দায়ের হতেই দ্রুততার সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।