Suvendu Adhikari: ‘রাজেশ মাহাত বিক্রি হতে পারে, কুড়মিরা বিক্রি হবে না’, মমতার সঙ্গে দেখা করতেই কুড়মি নেতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: মমতার সঙ্গে দেখা করতেই রাজেশের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হতে দেখা গেল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। যা নিয়ে নতুন চর্চা জেলার রাজনৈতিক মহলে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: এখনও মেটেনি দাবি-দাওয়া। সোমবার ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা। বৈঠক বেশ ফলপ্রসূও হয় বলে জানান কুড়মি নেতারা। তবে জাতিসত্তার দাবিতে তাঁদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন কুড়মি সমাজের নেতারা। রাজেশ মাহাতকে বলতে শোনা যায়, “আমরা কেন্দ্রের বা রাজ্যের শত্রু নই। আমরা আমাদের অধিকারের জন্য গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছি।” এবার মমতার সঙ্গে দেখা করতেই রাজেশের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হতে দেখা গেল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের সভা থেকে একযোগে মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “খুব ঠেলায় পড়েছেন না? রাজেশ মাহাতর সঙ্গে মিটিং! কদিন আগে বলে গিয়েছিল ক্রিমিনাল।” এরপরই রাজেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “রাজেশও বলিহারি! কোচবিহারে ট্রান্সফার করে দিতেই এখন গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা ধরছেন। পারেও বটে! রাজেশ মাহাত বিক্রি হতে পারে। এ দল, ও দল, সে দল করে। ও প্রতি ভোটে বিক্রি হয়। কিন্তু মাহাত সমাজ বিক্রি হবে না। কুড়মিরা বিক্রি হওয়ার লোক নয়। জনজাতিরা বিক্রি হওয়ার লোক নয়।”
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় রাজেশ মাহাত বলেন, “আমি ওঁর কথায় খুবই মর্মাহত। একসময় উনি জঙ্গলমহলের মানুষের জন্য অনেক করেছেন। সেটা আমরা ভুলিনি। সে কারণেই তাঁকে জঙ্গলমহলের কুটুম বলা হত। কিন্তু, আজ উনি এ কথা বলায় আমার খুবই খারাপ লেগেছে। তবে এটুকু বলতে পারি রাজেশ মাহাতর শিরদাঁড়া বিক্রি নেই।” প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে গড়শালবনিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে কুড়মিদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরেই কুড়মি নেতা তথা শিক্ষক রাজেশ মাহাতর নাম সামনে এনেছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তাঁর পরেই তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয় উত্তরবঙ্গে।