TMC-CPIM: শাসক-বিরোধী জোটের নয়া সমীকরণ ডেবরায়, ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে বামেদের হাত ধরল তৃণমূল
TMC-CPIM: ডেবরা ব্লকের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র দুটি পঞ্চায়েত বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত অঞ্চলে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়ে গিয়েছে একদিন আগেই। এরইমধ্য়ে এল এই খবর।
ডেবরা: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র কোথাও উত্তেজনা, কোথাও হিংসা, কোথাও আবার ‘জোটের’ নয়া সমীকরণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ভোটের একমাসে পরেও বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে চলছে জোর শোরগোল। কোথাও রাতারাতি চলছে দলবদল, কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে রামে-বাম জোটের অঙ্ক। এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় দেখা গেল তৃণমূল-সিপিএম (Trinamool-CPIM) ‘জোটের’ ছবি। তৃণমূলকে বোর্ড গঠনে এবার সাহায্য়ের হাত বাড়িতে দিতে দেখা গেল বিরোধী বামেদের।
ডেবরা ব্লকের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র দুটি পঞ্চায়েত বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত অঞ্চলে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়ে গিয়েছে একদিন আগেই। কিন্তু, ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় বাকি থাকা দুই পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু। এর মধ্যে ৫/২ পঞ্চায়েতে আসন ১৬টি। তৃণমূলের দখলে যায় ৭টি আসন, বিজেপির দখলে ৩, সিপিএম পায় ৪টি। নির্দলেরা জেতে দুই আসন। কিন্তু, বোর্ড গঠনের জন্য দরকার ছিল ৯টি আসন। কিন্তু, সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না কারও কাছে। সূত্রের খবর, ঠিক হয়েছিল সিপিএম বিজেপি ও নির্দল মিলে বোর্ড গঠন করবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বদলে যায় সমীকরণ।
সূত্রের খবর, সিপিএমের চার পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে তিনজন সমর্থন করে তৃণমূলকে। সে কারণেই তৃণমূলের বোর্ড গঠনের রাস্তা সহজ হয়ে যায়। একই ছবি ৫/১ পঞ্চায়েতেও। মোট আসন ১৬। এর মধ্যে তৃণমূল পায় ৭ আসন। বিজেপি পায় ৫ আসন। সিপিএম পায় ৪ আসন। বোর্ড গঠনের জন্য কোনও দলের কাছেই ছিল না ৯ আসন। কিন্তু, বামেরা তৃণমূলকে সমর্থন করায় বোর্ড গঠন করে ফেলে তৃণমূল।