JU Student Death: ধার-দেনা করে ছেলেকে টাকা পাঠাতেন বাবা! ছেলের গ্রেফতারিতে হতবাক নাসিমের পরিবার
JU Student Death: ঘটনার দিন হস্টেলেই ছিলেন নাসিম। পরের দিন সকালে দাদুর মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়ি চলে যান তিনি।
পূর্ব বর্ধমান: ছেলেবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। পড়াশোনা নিয়েই থাকতেন। যাদবপুর-কাণ্ডে ধৃত নাসিম আখতার সম্পর্কে প্রতিবেশীরা বলছেন ‘সোনার টুকরো ছেলে।’ সেই ছেলে কীভাবে এমন একটা ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে পারে, তা ভেবে পাচ্ছে না নাসিমের পরিবার। গত সপ্তাহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুতে উঠেছে র্যাগিং-এর অভিযোগ। একে একে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়। শুক্রবারই গ্রেফতার হন নাসিম আখতার। সেই খবর পেয়েই হতবাক গোটা পরিবার। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁর। আত্মীয়রা মানতেই পারছেন না যে নাসিম এমন কোনও কাজ করতে পারে।
নাসিমের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বারারি গ্রামে। তাঁর বাবা মহসিন আখতার চাষবাস করেন। একটা ছোট ব্যবসাও ছিল। প্রতিবেশীরা বলছেন, নাসিমের পড়াশোনার খরচ জোগাতে গিয়ে সেই ব্যবসাও প্রায় উঠে গিয়েছে তাঁর বাবার। গ্রেফতারির খবর শুনেই নাসিমের মা নূরজাহান আখতার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁর বোন সায়েরী আখতার জানিয়েছে, দাদা অত্যন্ত মেধাবী ছিল।
নাসিমের বোন জানিয়েছে, ঘটনার দিন হস্টেলেই ছিলেন নাসিম। পরের দিন সকালে দাদুর মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়ি চলে যান তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার হস্টেলের সুপার ফোন করে নাসিমকে যেতে বলেন। শুক্রবার বাবার সঙ্গে যাদবপুরে যান তিনি। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছে, নাসিম গ্রামের হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। পরে খড়গপুর আল-আমিন মিশনে ভর্তি হন। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর যাদবপুরে রসায়ন নিয়ে ভর্তি হন তিনি। নাসিম গ্রেফতার হওয়ায় অবাক পূর্ব পাড়ার বাসিন্দারা। নাসিমের প্রতিবেশী নূর ইসলাম মণ্ডল জানান, নাসিম ও তাঁর পরিবারই খুবই ভদ্র। নাসিমের মামা ইজাজুল হক সাহানা বলেন, আমার ভাগ্নে কোনও ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নয়। ওকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। নাসিম সহ মোট তিনজনকে আজ আদালতে পেশ করা হবে।