JU Student Death: ‘করোনাকালে দাঁড়িয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে’, ‘পরোপকারী’ জয়দীপের ‘দোষ’ খুঁজছেন পরিজনেরা

JU Student Death: জয়দীপের বাবা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাফ জানাচ্ছেন তাঁদের ছেলে নির্দোষ। তাঁরা এও জানাচ্ছেন গত ১৭ তারিখ বাড়িতে এসেছিল ছেলে। দু’দিন আগেই কলকাতায় ফিরে যায়। তারমধ্যে আসে পুলিশের নোটিশ।

JU Student Death: ‘করোনাকালে দাঁড়িয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে’, ‘পরোপকারী’ জয়দীপের ‘দোষ’ খুঁজছেন পরিজনেরা
কী বলছেন জয়দীপের পরিবারের সদস্যরা? Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2023 | 2:36 PM

কেতুগ্রাম: যাদবপুরের (Jadavpur University Case) প্রথমবর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে গ্রেফতার কেতুগ্রামের জয়দীপ ঘোষ। পুলিশকে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শনিবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, জয়দীপ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিভাগের প্রাক্তনী। এদিকে তাঁর গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই রবিবার সকাল থেকে কেতুগ্রামের কাদরায় জয়দীপ ঘোষের বাড়ির সামনে ভিড় বেড়েছে উৎসাহী জনতার। যদিও জয়দীপের বাবা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাফ জানাচ্ছেন তাঁদের ছেলে নির্দোষ। তাঁরা এও জানাচ্ছেন গত ১৫ তারিখ বাড়িতে এসেছিল ছেলে। দু’দিন আগেই কলকাতায় ফিরে যায়। তারমধ্যে আসে পুলিশের নোটিস। 

বাবা বংশীলাল ঘোষ বলছেন, “খুব বেশি কিছু আমরা জানি না। দু’দিন আগে ও বাড়িতে এসেছিল। ও ফিরে যাওয়ার পর পুলিশ বাড়িতে একটা নোটিস পাঠায়। ওকে আমরা সেটা জানাই। ও যাদবপুর থানায় ফোনও করেছিল। ওকে শনিবার সাড়ে ৬টার সময় যেতে বলে। ও ওর দাদাকে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর তো রাত সাড়ে দশটার সময় টিভিতে দেখছি ওকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ও খুবই ঠান্ডা মাথার ছেলে। ছোট থেকেই পরোপকারী। ও নিজে প্রাইভেট টিউশানি পড়িয়ে রোজগার করত। চাকরির পরীক্ষাও দিচ্ছিল। আমার ছেলে ভাল ছেলে। এটা আমি জানি। আমি যতদূর জানি ও হসপিটালে ছেলেটাকে দেখতে গিয়েছিল। তার প্রমাণও রয়েছে।”

ভাল ছেলের সার্টিফিকেট দিচ্ছেন তাঁর বন্ধু শুভ্রনীল দত্ত। বলছেন, “খুব শান্ত স্বভাবের, পরোপকারী ছেলে, কোভিডের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছে। যাদবপুরেও যে কমিউনিটি কিচেন গরিব মানুষের জন্য দীর্ঘদিন চালানো হয়েছিল সেখানেও ও দীর্ঘদিন যুক্ত ছিল। সক্রিয় ভূমিকায় ছিল।” গত ২ বছর ধরে হস্টেলে থাকত না জয়দীপ। শুভ্রনীল বলছেন, “সংবাদমাধ্যমের খবর, পুলিশও সেটাই বলছে। আমার মনে হয় দুর্ঘটনার খবর জেনে হাসপাতালে ও মানবিকতার জায়গা থেকেই গিয়েছিল। তবে পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছিল কিনা সেটা তদন্ত সাপেক্ষ।”  

এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার মেইন হস্টেলের গেট বন্ধ করে দেওয়া ও পুলিশকে বাধা দেওয়ার ঘটনায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল জয়দীপ। কে কে এই কাজে জয়দীপকে সাহায্য করেছিল এখন তাদের সন্ধান পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। গতকাল রাতভর দফায় দফায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হোস্টেলের সুপারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর।