TMC Leader Murder: শনিতে ফোনে কথা রাজ্যপালের, রবিতে মৃত ধনঞ্জয়ের বাড়িতে সশরীরে মলয়
Purulia TMC Leader Murder: ঘটনার পরের দিনই গ্রেফাতার করা হয় আরসাদ ও জামাল নামে দুই দুষ্কৃতীকে। ইতিমধ্যেই দুজনের ১৩ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে।
আদ্রা: শনিবার বিকালে গিয়েছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ফোন। কথা বলেছিলেন আদ্রার মৃত তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবের দাদার সঙ্গে। ২৫ হাজার টাকা তাঁদের হাতে তুলে দিতেও চান। এদিকে রাজ্যপালের ফোনের পরেই এবার তড়িঘড়ি ময়দানে নেমে পড়ল ঘাসফুল শিবির (Trinamool Congress)। ধনঞ্জয়ের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক (Malay Ghatak)। দিলেন পাশে থাকার আশ্বাস।
তাঁর সঙ্গে ধনঞ্জয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া, কাশিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়াও। মৃতের স্ত্রী-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথাও বলেন তাঁরা। পরবর্তীতে মলয় ঘটক বলেন, দল সর্বতভাবে ওদের পাশে আছে। এদিন সে কথা বলতেই আসা। বলেন, “দোষীরা যাতে শাস্তি পায় তা সরকার নিশ্চয় দেখবে। ইতিমধ্যেই দুজন গ্রেফতার হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে দোষীরা যাতে শাস্তি পায় তা আমরাও দেখব।” জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া আবার বলছেন, রাজ্যপাল ফোন করেছেন তারপর আমরা এখানে এসেছি এমনটা নয়। আগে থেকেই আমরা ওর পরিবারের পাশে আছি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার আদ্রার পুরাতন বাজার এলাকায় গিয়েছিলেন তৃণমূলের আদ্রা শহর সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবে। সেখানেই তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। ছোড়া হয় তিন রাউন্ড গুলি। হাসাপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে তোলপাড় চলছে গোটা জেলায়। এদিকে ঘটনার পরের দিনই গ্রেফাতার করা হয় আরসাদ ও জামাল নামে দুই দুষ্কৃতীকে। ইতিমধ্যেই দুজনের ১৩ দিনের জেল হেফাজতও হয়ে গিয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি বাইকও। সেই বাইকটিই দুষ্কৃতীরা অপকর্মের সময় ব্যবহার করেছিল বলে খবর। পাশেপাশে এরা দুজন ছাড়াও আরও একজনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।