পুলিশ কর্মীদের রক্তে প্ৰান বাঁচল থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর
বাসন্তী থানার এএসআই সত্যজিত রায় এবং কনস্টেবল অরিজিৎ সাধুখাঁ জানান তাঁদের রক্তের গ্রুপ এ পজিটিভ। বিষয়টি ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাসকে জানানো হয়। তখন তিনি ওই দুই পুলিশকর্মীকে রক্ত দেওয়ার নির্দেশ দেন।
ক্যানিং: থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত বাচ্চার জীবন সঙ্কটে। রক্ত না পেলে জীবন সঙ্কটে। এই পরিস্থিতিতেই এগিয়ে এলেন দুই পুলিশকর্মী। তড়িঘড়ি রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচালেন ১০ বছরের শিশুর। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে।
বুধবারের দুপুর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার অন্তর্গত শিমুলতলা পুলিশ ক্যাম্পের কর্মীরা যে যার কাজে ব্যস্ত। হঠাৎ করে সেখানে হাজির রাম দেবনাথ নামের এক স্থানীয় যুবক। পুলিশ ক্যাম্পে ঢুকে হাঁপাতে হাঁপাতেই তিনি জানান থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের কথা। শিমুলতলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সোমনাথ দাসকে তিনি জানান, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ১০ বছরের এক বাচ্চার অবস্থা সঙ্কটজনক। জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে তাঁর এ পজিটিভ রক্তের দরকার। রক্ত না পেলে যে কোনও সময় শিশুটির জীবন সঙ্কটে পড়তে পারে। স্থানীয় যুবকের কাছে এই কথা শোনার পরই ইনচার্জ তাঁর সহকর্মীদের বিষয়টি জানান। তা শুনেই বাসন্তী থানার এএসআই সত্যজিত রায় এবং কনস্টেবল অরিজিৎ সাধুখাঁ জানান তাঁদের রক্তের গ্রুপ এ পজিটিভ। বিষয়টি ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাসকে জানানো হয়। তখন তিনি ওই দুই পুলিশকর্মীকে রক্ত দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পর ক্যানিং মহকুমার হাসপাতালে গিয়ে রক্তদান করেন দুই পুলিশকর্মী।
আক্রান্ত বাচ্চাটি শিশুটির নাম রনজিৎ পইরা। তার মা শ্যামলী পইরা রক্তের জন্য উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলেন। কখন রক্ত জোগাড় হবে তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছিলেন না। সে সময়ই ঈশ্বরের দূতের মতো হাজির হন দুই পুলিশকর্মী। বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানো পুলিশকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন তিনি।