Ballot Box: দেখুক পাড়া-পড়শিতে… মাছ ধরার জালে উঠে এল ‘গণতন্ত্র’
Jaynagar: গত ১০ জুলাই পুনর্নির্বাচন হয় এই কেন্দ্রে। তারপরও ভোট তলাল জলের নীচে। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের মুখে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হল ব্যালট বাক্স। জয়নগর-২ ব্লকে এই বকুলতলা থানা এলাকা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আবারও পুকুর থেকে উদ্ধার ব্যালট বাক্স। এবার জয়নগর। মাছ ধরার জালে উঠল চার চারটি ব্যালট বাক্স ও বেশ কিছু ব্য়ালট পেপার। ভোটের এতদিন পরও এভাবে জল থেকে ‘গণতন্ত্র’ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জয়নগর বিধানসভার অন্তর্গত বকুলতলা থানার ময়দা গ্রামপঞ্চায়েত। সেখানকার বটতলা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র। গত ৮ জুলাই ভোটের দিন এই বুথে বোমাবাজি ও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, সেই সময় ভোটের ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার লুঠ করা হয়। পরিস্থিতি এতটাই জটিল ছিল যে এখানে আবারও ভোট হয়। গত ১০ জুলাই পুনর্নির্বাচন হয় এই কেন্দ্রে।
তারপরও ভোট তলাল জলের নীচে। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের মুখে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হল ব্যালট বাক্স। জয়নগর-২ ব্লকে এই বকুলতলা থানা এলাকা। শনিবার সেখানেই উদ্ধার হল ব্যালট বাক্স। বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েছিলেন কৃষ্ণদাস নস্করের স্ত্রী। পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। সেই কৃষ্ণদাস বলেন, “আমি আজ সকালে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখি কয়েকজন পুকুরে জাল ফেলছে। আর হইহই। এগিয়ে দিয়ে দেখি জালে বিশাল একটা বাক্স উঠেছে। পরে দেখলাম ব্যালট বাক্স। এরপর ঠেলতে ঠেলতে দেখি আরও তিনটে ব্যালট বাক্স উঠে এসেছে। ভোটের দিন ঝামেলা করেছিল তৃণমূল। প্রতিবাদে এলাকার লোকজন ব্যালট ফেলে দিয়েছিল পুকুরে। এরপর আবারও ভোট হয়। যদিও সে সময় আমরা বাড়ি ছাড়া ছিলাম। আজ সেই ব্যালট পাওয়া গেল।”
যদিও প্রাক্তন উপপ্রধান দেবকুমার নস্করের বক্তব্য, “ভোটের দিন এসইউসিআই ও বিজেপি জোট করে তাণ্ডব চালায়। সকাল থেকে ওরা ভোট করাচ্ছিল। তবে দুপুরের পর থেকে তৃণমূলে ভোট পড়ায় বিকেলে ঝামেলা শুরু করে। বিজেপির লোকেরাই ভোটের দিন ব্যালট বাক্স পুকুরে ফেলেছিল।”