Nawsad Siddiqui: ভাঙড়ের বোমাবাজিতে বাংলাদেশি উগ্রপন্থীদের যোগ? ঘোর সন্দেহ নওশাদের মনে
Bhangar Bombing: বুধবার দুপুরে ভাঙড়ের মাঝেরহাট গ্রামে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মী আহত হয়েছেন। এবার সেই ঘটনায় বাংলাদেশ থেকে ঢোকা উগ্রপন্থীদের যোগ থাকার সন্দেহ নওশাদের মনে।
ভাঙড়: পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের দিনেও ভয়ঙ্কর ভাঙড়। ফের বোমাবাজির অভিযোগ। ভাঙড়ের মাঝেরহাট গ্রামে আহত হয়েছেন পাঁচজন আইএসএফ কর্মী। বুধবার সন্ধেয় সেই আহত কর্মী-সমর্থকদের দেখতে মাঝেরহাট গ্রামে পৌঁছে যান ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। আহত কর্মীদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি শাসক শিবিরকেও একহাত নিলেন বিধায়ক। ঘটনায় তৃণমূলের যারা জড়িত বলে অভিযোগ উঠছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবি তোলেন তিনি। একইসঙ্গে এই ধরনের হামলার ক্ষেত্রে কী ধরনের বোমা ব্যবহার হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন বিধায়কের। ভাঙড় থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত বেশি দূরে নয়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীরা ঢুকে এদেশে কোনও নাশকতার ছক করছে না তো? তা নিয়েও দুশ্চিন্তা রয়েছে নওশাদের মনে। বিষয়টি নিয়ে এনআইএ-কে চিঠি লেখার চিন্তাভাবনাও করছেন তিনি।
এদিন ভাঙড়ে আহত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের দেখতে এসে নওশাদ বলেন, ‘কী ধরনের বোমা, কী বিস্ফোরক ব্যবহার করছে… সেগুলি জানা দরকার। এটি বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি। এটা সীমান্তবর্তী জেলা। এমনিতেই বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ২২০০ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া ঠিকঠাক নেই। উগ্রপন্থীরা সীমান্ত পার হয়ে এসে এদিকে ঢুকে, বড়সড় কোনও নাশকতা করার ছক রয়েছে কি না… এদের দিয়ে সেগুলি টেস্ট করাচ্ছে কি না, সেটাও দেখার দরকার আছে। এদের সঙ্গে কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, সেটাও দেখা দরকার। প্রয়োজনে আমি এনআইএ তদন্ত চাইব। আমি এনআইএকে পরবর্তীতে চিঠি লিখব।’
যদিও ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম আগেই এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, মাঝেরহাট এলাকায় বোমাবাজি করার মতো তৃণমূলে কোনও লোক নেই। আবার ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা বলছেন, এই ঘটনার সঙ্গে শাসক দলের কোনও যোগ নেই। বলছেন, ‘আইএসএফ নিজেরাই বোমাবাজি করে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।’ ওই এলাকায় যে তৃণমূলের শক্তি অনেকটা কম, সে কথাও মানছেন তিনি। বলছেন, ‘ওখানে তৃণমূল অনেক কম। যে ক’জন আছেন, তাঁদের উপর দেখে দেখে বোমা ফেলছে আইএসএফ।’ যদিও শওকত এও বলছেন, এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও কর্মীর যোগ থাকলে, তার দায় ওই ব্যক্তির নিজের।