CPIM: পঞ্চায়েতে পরাজিতদের হাতে জয়ীর শংসাপত্র তুলে দিল সিপিএম
Sonarpur: সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, সিপিএমের জয়ী প্রার্থীদের সার্টিফিকেট না দিয়ে এলাকার বিধায়ক লাভলি মৈত্র জোরপূর্বক তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থীদের জয়ী সার্টিফিকেট দিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পরাজিত প্রার্থীদের জয়ী সার্টিফিকেট দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার অনুমতি প্রদান করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সোমবার বিকেলে সোনারপুর থানা এলাকার চাকবেড়িয়াতে সিপিএমের একটি কর্মসূচী ছিল। সেখানেই এই সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। ভোটে বেনিয়ম না হলে কালিকাপুর-১, কালিকাপুর-২ ও প্রতাপনগর পঞ্চায়েতের সিপিআইএমের প্রার্থীরাই জিততেন বলে দাবি সুজনের। এদিনের মঞ্চ থেকে তৃণমূল বিধায়ককেও নিশানা করতে শোনা যায় সিপিএম নেতাকে। সুজনের দাবি, হারলেও জিততে হবে, দখলদারি করতে হবে, এমনই মানসিকতা তৃণমূলের।
সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, সিপিএমের জয়ী প্রার্থীদের সার্টিফিকেট না দিয়ে এলাকার বিধায়ক লাভলি মৈত্র জোরপূর্বক তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থীদের জয়ী সার্টিফিকেট দিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। প্রকৃতপক্ষে যারা জয়ী হয়েছেন তাদের এদিন সংবর্ধনা দিয়ে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সিপিএম নেতার দাবি, এবার থেকে দলের এই শংসাপত্রকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করবেন তাঁরা। যদিও সেই সার্টিফিকেটে উল্লেখ থাকবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি।
এদিন সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এখানে তিনটে অঞ্চলেই সিপিএম জিতেছে। সকলেই তা জানে। যাঁরা পরাজিত হয়েও সার্টিফিকেট নিয়েছেন তৃণমূলের সেই প্রার্থীরাও জানেন। বিডিও অফিস থেকে গণনাকর্মী, পুলিশ সকলেই জানে তৃণমূল হেরেছে। সকলেই জানে সিপিএম জিতেছে। কিন্তু সার্টিফিকেট সিপিএমকে দেওয়া হয়নি। সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে বেআইনিভাবে তৃণমূলকে। গণনাকেন্দ্রে বিধায়ক পর্যন্ত দাপিয়ে বেরিয়েছেন। মানুষ তা মেনে নিচ্ছেন না। গ্রামে গ্রামে বিক্ষোভ। পরাজিতরা হেরেও জিতবে মানুষ তা মানতে নারাজ। সে কারণে মানুষের রায়ে আসলে যাঁরা জিতেছেন, তাঁদের দলের পক্ষ থেকে আমরা সার্টিফিকেট দিলাম, অভিনন্দন জানালাম।” এর আগে বারুইপুরেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। যদিও এ নিয়ে তৃণমূলের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।