Kakdwip Student Suicide: থানায় হেনস্থা, সাদা কাগজে সইয়ের জন্য় চাপ, পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মৃত পড়ুয়ার পরিবারের

Kakdwip student death: একই সঙ্গে মৃতের পরিবারের দাবি, অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মৃত ছাত্রের পরিবারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।

Kakdwip Student Suicide: থানায় হেনস্থা, সাদা কাগজে সইয়ের জন্য় চাপ, পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মৃত পড়ুয়ার পরিবারের
মৃত পড়ুয়ার বাবাImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2023 | 4:58 PM

কাকদ্বীপ: কয়েকদিন আগে কাকদ্বীপে দশম শ্রেণির এক পড়ুয়া আত্মহত্যা করে। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় দুই সিনিয়র পড়ুয়ার। তবে এই ঘটনায় হারউড পয়েন্ট উপকূল থানার পুলিশের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিল মৃতের পরিবার। মঙ্গলবারও পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলল তারা। পরিবারের দাবি, গতকাল বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বসিয়ে রেখে হেনস্থা করা হয়েছে তাদের। মামলা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য জোর করে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিতে চাইছেন পুলিশ আধিকারিকরা।

একই সঙ্গে মৃতের পরিবারের দাবি, অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মৃত ছাত্রের পরিবারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই দশম শ্রেণির ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, দুই সিনিয়র পড়ুয়া দশম শ্রেণির এক পড়ুয়ারাকে হেনস্থা করে। ওই ছাত্রকে দিয়ে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার ভিডিয়োও ভাইরাল হয়ে যায়। এর পরই অপমানে ওই ছাত্র আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ। এরপর ২৭ জুলাই হারউড পয়েন্ট উপকূল থানার স্টিমারঘাট এলাকায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। কিন্তু এতদিন কেটে যাওয়ার পরও হারউড পয়েন্ট উপকূল থানা অভিযুক্ত সিনিয়র দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে কোনও হেলদোল দেখাচ্ছে না বলে অভিযোগ।

মৃত ছাত্রের পরিবার সুন্দরবনের পুলিশ সুপারের কাছেও লিখিত অভিযোগ জানাবেন। এরপরও যদি কোনও সুরাহা না মেলে আগামী দিনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন পড়ুয়ার বাবা।

মৃতের বাবা বলেন, “পুলিশ তদন্তের নামে আমাদের হেনস্থা করছে। খবর হওয়ার পর পুলিশ ফোন করে বলছে আমি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে যাচ্ছি। আপনি থানায় আসুন। আমি যখন থানায় যাই আমায় ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখে। সাদা কাগজে সই করতে বলছে। আমি কোনও সই না করেই চলে আসি। এসডিপিও কী করছে জানি না। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হব। পুলিশ ওদের বাঁচাতে চাইছে।”