Bhangar: দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ভাঙড়ে অ্যাকশন শুরু কলকাতা পুলিশের, লাগানো হচ্ছে CCTV ক্যামেরা

Kolkata Police: বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের দু'টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে ফেললেন কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। বাসন্তী হাইওয়ের ধারে ঘটকপুকুরে তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। অন্যদিকে হাতিশালা মোড়ের কাছেও চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা ইনস্টল করেছেন পুলিশকর্মীরা।

Bhangar: দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ভাঙড়ে অ্যাকশন শুরু কলকাতা পুলিশের, লাগানো হচ্ছে CCTV ক্যামেরা
ভাঙড়ে বসছে সিসিটিভি ক্যামেরাImage Credit source: টিভি নাইন বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2023 | 1:48 PM

ভাঙড়: ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় নিয়ে আসার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। মন্ত্রিসভায় তা পাশও হয়ে গিয়েছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতা পুলিশের দায়িত্বে এখনও আসেনি ভাঙড়। তবে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ভাঙড়ে ‘অ্যাকশন’ শুরু করে দিল কলকাতা পুলিশ। ভাঙড়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু করল কলকাতা পুলিশ। ঞ্চায়েত ভোট পর্বে বার বার উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। বোমাবাজি হয়েছে। রক্ত ঝরেছে। গুলি চলেছে। মৃত্যু হয়েছে। শাসক-বিরোধী দুই শিবিরেই মায়ের কোল খালি হয়েছে। গ্রাম দখলের লড়াইয়ে সেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর টনক নড়েছে প্রশাসনের।

বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে ফেললেন কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। বাসন্তী হাইওয়ের ধারে ঘটকপুকুরে তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। অন্যদিকে হাতিশালা মোড়ের কাছেও চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা ইনস্টল করেছেন পুলিশকর্মীরা। প্রাথমিকভাবে এদিন মোট সাতটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে ভাঙড়ে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পুলিশের এই তৎপরতা। ভাঙড়ের আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে সেখানকার যানবাহন চলাচল ও সাধারণ মানুষদের গতিবিধির উপর নজর রাখতেই এই পদক্ষেপ বলে পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, আগামী দিনে গোটা ভাঙড়কেই সিসিটিভি নজরদারিতে নিয়ে আসা হবে। মুড়ে ফেলা হবে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে।

পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্ব থেকে অশান্ত ভাঙড়কে দেখেছে গোটা বাংলা। মনোনয়ন, ভোট, ভোটগণনা… এমনকী তার পরও অশান্তি পিছু ছাড়েনি ভাঙড়ের। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়েছিল ভোটের সময়ে, যে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও ছুটে যেতে হয়েছিল ভাঙড়ে। শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষই একে অন্যের দিকে আঙুল তুলছিল। শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামদের অভিযোগ ছিল, আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। আবার নওশাদ সিদ্দিকীদের অভিযোগ ছিল, যা হয়েছে সব দায় তৃণমূলেরই। আর শাসক-বিরোধী এই যাঁতাকলের মধ্যে আতঙ্কে সিঁটিয়ে ছিলেন সাধারণ বাসিন্দারা।

এমন অবস্থায় আজ সিসিটিভি লাগানোর কাজ শুরু হওয়ার পর কি বুকে বল পাচ্ছেন এলাকাবাসীরা? মনের মধ্যে থেকে ভয় কি কাটছে? এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই। পঞ্চায়েত ভোটপর্বের অশান্তিতে তাঁরা এতটাই ত্রস্ত যে কিছু প্রশ্ন করা হলেই ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছেন।