Mysterious Death: ময়নাতদন্ত না করেই মহিলার দেহ সৎকারের চেষ্টা, শ্মশান পর্যন্ত প্রেমিককে ধাওয়া পরিবারের
Mysterious Death: গতরাতে মহিলার মৃত্যুর পর প্রেমিক ও তাঁর দলবল মহিলার দেহ নিয়ে চলে যায় শ্মশানে। মহিলার পরিবারের লোকজনকে না জানিয়েই দেহ সৎকার করে দেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে শ্মশানে ধাওয়া করেন পরিবারের লোকেরা।
বিষ্ণুপুর: এক মহিলার রহস্যমৃত্যু ঘিরে শুক্রবার রাতে উত্তাল হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপর থানা এলাকায় আমতলা চত্বর। থানার সামনে দীর্ঘক্ষণ মহিলার দেহ নিয়ে চলে বিক্ষোভ। মৃত মহিলার নাম মৌসুমী সর্দার। বয়স ৩৯ বছর। কী কারণে মহিলার মৃত্যু হল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। জানা যাচ্ছে, ওই মহিলার জয়ন্ত সাহা নামে এক প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। বিগত প্রায় বছর ছ’য়েক ধরে তাঁদের মধ্যে এই সম্পর্ক ছিল। যুবক একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। গতরাতে মহিলার মৃত্যুর পর প্রেমিক ও তাঁর দলবল মহিলার দেহ নিয়ে চলে যায় শ্মশানে। মহিলার পরিবারের লোকজনকে না জানিয়েই দেহ সৎকার করে দেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে শ্মশানে ধাওয়া করেন পরিবারের লোকেরা। মহিলার দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তারপর মহিলার দেহ নিয়ে বিষ্ণুপুর থানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
ঘড়ির কাঁটায় রাত তখন প্রায় দশটা। তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয় থানার সামনে। পুলিশকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের পাঠানোর চেষ্টা করে পুলিশের সঙ্গেও একপ্রস্থ বচসা বেঁধে যায় পরিবারের লোকেদের। শুধু তাই নয়, আমতলা বাজার চত্বরে ওই প্রেমিকের যে ওষুধের দোকান রয়েছে, সেটিও ভাঙচুর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে এই তাণ্ডব। কেন দেহের ময়নাতদন্ত না করেই সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা নিয়েই ক্ষোভ পরিবারের লোকেদের। মহিলার ওই প্রেমিকের গ্রেফতারির দাবিও তুলেছেন তাঁরা।
শেষ পর্যন্ত গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককেও। পাশাপাশি কী কারণে ওই মহিলার মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখতে আজ দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। জানা যাচ্ছে, গতকাল স্থানীয় এক নার্সিংহোমে মৃত্যু হয়েছে মৌসুমীর। মহিলার প্রেমিকের দাবি, তিনি আত্মহত্য়ার চেষ্টা করেছিলেন। পরে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। সব দিক খতিয়ে দখছেন তদন্তকারী অফিসাররা।