Road Accident: ভয়াবহ পথদুর্ঘটনায় দুই অধ্যাপিকার মৃত্যু, নিহত গাড়ির চালকও
Road Accident: নন্দিনীর পরিবারের লোকজন হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানান, এদিন বিকেল ৫টা নাগাদ ফোন আসে মেয়ের। জানিয়েছিলেন, সবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরোলেন। নিয়মিত গাড়ি নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে যান।
উলুবেড়িয়া: বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মৃত্যু হল দুই অধ্যাপিকা ও তাঁদের গাড়ির চালকের। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার উলুবেড়িয়া কুলগাছিয়া মুম্বই রোডে উড়ালপুলে। পুলিশ জানায়, এদিন মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুম্বই রোড ধরে কলকাতা দিকে ফিরছিলেন দুই অধ্যাপিকা। সেই সময় উল্টোদিকে কুলগাছিয়া উড়ালপুলের উপর কোলাঘাটমুখী একটি ট্রেলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডার পার করে অন্য লেনে চলে আসে। ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখে পড়ে অধ্যাপিকাদের গাড়ি। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের।
নিহত দুই অধ্যাপিকার নাম নন্দিনী ঘোষ (৩৬) ও মিশা রায় (৩৩)। নন্দিনীর বাড়ি হুগলির কোন্নগরে। অন্যদিকে মিশা রায়ের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে। নিহত গাড়ির চালক বিশ্বজিৎ দাসের (৩১) বাড়ি হুগলির উত্তরপাড়ায়। দুর্ঘটনার পরই নিহতদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। রাতেই উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দেহ শনাক্ত করেন নন্দিনীর পরিবারের লোকেরা। এরপরই দেহ তিনটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
ট্রেলারটির পিছনেই ছিল সঞ্জয় যাদবের গাড়ি। তিনি বলেন, “কী সমস্যা হল বুঝলাম না। গাড়িটা অন্যদিকে ঢুকে পড়ল। এরপরই একটি ছোট গাড়িকে ধাক্কা মারে। জলের বোতল নিয়ে ছুটে যাই। ট্রেলারের নীচে পড়েছিলেন চালক। একজনের মাথা ফেটে গিয়েছিল, একজনের নাক থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। দুইজন মহিলাই মারা যায়। চালকও শেষ।”
নন্দিনীর পরিবারের লোকজন হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানান, এদিন বিকেল ৫টা নাগাদ ফোন আসে মেয়ের। জানিয়েছিলেন, সবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরোলেন। নিয়মিত গাড়ি নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। এদিন রাত সাড়ে ৮টা থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন বাড়ির লোকজন। খটকা লেগেছিল বাড়ির লোকজনের। লালবাজার কন্ট্রোল রুমেও যোগাযোগ করেন। এরপর রাত ৯টা নাগাদ ফোন আসে। জানানো হয় দুর্ঘটনার কথা।