ভিডিয়ো: যাদবপুরের ছায়া! হেনস্থা হতেই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, মৃত্যুর পরও ‘চুপ’ পুলিশ
ছাত্রীর সঙ্গে এক সঙ্গেই পড়তেন মৃত ছাত্র। টিউশন পড়তে আসার সময় কাকদ্বীপের দুই যুবক তাদের উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। এ নিয়ে তৃণাঙ্কুরকে হেনস্থা করে তাঁরা।
কাকদ্বীপ: যাদবপুর-কাণ্ডের ছায়া এ বার কাকদ্বীপে। দশম শ্রেণির এক পড়ুয়ারাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল দুই সিনিয়র পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রকে দিয়ে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার ভিডিয়োও ভাইরাল হয়ে যায়। এর পরই অপমানে ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। এই আত্মহত্যার ঘটনাটি ১৬ জুলাই ঘটেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপের হারুউড পয়েন্ট উপকূল থানার স্টিমারঘাট এলাকায়। মৃত ছাত্রের পরিবারের লোকেরা ২৭ জুলাই অভিযোগ দায়ের করেছিল। কিন্তু সেই ঘটনায় এখনও কোনও পদক্ষেপ পুলিশ করেনি বলে অভিযোগ। ঘটনার ২৫ দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। যদিও এ নিয়ে কোনও সদুত্তর দেওয়া হয়নি পুলিশের তরফে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হেনস্থার শিকার হয়ে আত্মঘাতী হওয়া ওই ছাত্রের নাম তৃণাঙ্কুর ধল (১৫)। কাকদ্বীপ সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের দশম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল সে। জানা গিয়েছে স্কুলেরই এক শিক্ষকের কাছে কাকদ্বীপে টিউশন পড়তে আসত তৃণাঙ্কুর। তার সঙ্গে টিউশন পড়ত তারই এক সহপাঠিনী। ওই ছাত্রীর সঙ্গে এক সঙ্গেই পড়তেন মৃত ছাত্র। টিউশন পড়তে আসার সময় কাকদ্বীপের দুই যুবক তাদের উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। এ নিয়ে তৃণাঙ্কুরকে হেনস্থা করে তাঁরা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই ছাত্র একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। তাদের মধ্যে এক জন ও তৃণাঙ্কুরের সহপাঠিনীকে পছন্দ করত। সে জন্যই তৃণাঙ্কুরকে নানা ভাবে হেনস্থা শুরু করে তারা। ভয় দেখিয়ে তাদের পা ধরে ক্ষমা চাইতেও বাধ্য করা হয় ওই ছাত্রকে। এই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে যেতেই অবসাদে ভুগছিল ওই ছাত্র। এদের অত্যাচারেই তৃণাঙ্কুর আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ তার পরিবারের লোকেদের।
কিন্তু এই ঘটনার পর কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দুই অভিযুক্তের বাবাই এলাকায় প্রভাবশালী বলে জানা গিয়েছে। সে জন্যই কী ঘটনার এক মাস পার হলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ? যদিও এ বিষয়ে কোনও সদুত্তর মেলেনি পুলিশের তরফে।