Jadavpur University Case: ‘বই খুঁজতে গিয়ে ফেঁসে গিয়েছে ছেলে’, বলছেন ধৃত অসিতের মা
Jadavpur University Case: মায়ের সাফ দাবি, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি থেকে নেওয়া একটি বই হারিয়ে ফেলেছিল অসিত। তার খোঁজেই গিয়েছিল মেইন হস্টেলে। চেষ্টা করছিল বইটি ফেরত দিয়ে ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার।
কুলতলি: যাদবপুরের (Jadavpur University News) ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় জোরকদমে তদন্ত করছে পুলিশ। সৌরভ, দীপশেখর, মনোতোষের পর এদিন সকালে আরও ৬ ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের তালিকায় রয়েছেন যাদবপুরের প্রাক্তনী অসিত সর্দার। সূত্রের খবর, তিনি এই বছরই যাদবপুরের সংস্কৃত বিভাগ থেকে স্নাতক পাশ করেছেন। বাড়ি কুলতলি থানার জালাবেড়িয়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাওরা খালি গ্রামে। ছেলের গ্রেফতারির খবর শুনে যেন নিজের কানকেই বিশ্বাসই করতে পারছেন অসিতের মা সুমিত্র সর্দার। অবাক পাড়া-প্রতিবেশীরাও। মায়ের সাফ দাবি, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি থেকে নেওয়া একটি বই হারিয়ে ফেলেছিল অসিত। তার খোঁজেই গিয়েছিল মেইন হস্টেলে। চেষ্টা করছিল বইটি ফেরত দিয়ে ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার। কিন্তু, তার মধ্যে ঘটনায় সে ‘ফেঁসে’ গিয়েছে বলে দাবি সুমিত্রা দেবীর।
সুমিত্রা দেবী বলছেন, “কদিন ও হস্টেলে ছিল। একটা বই ও হারিয়ে ফেলেছিল বলে জানিয়েছিল। সেই বইয়ের খোঁজে হস্টেলে গিয়েছিল। ঘটনার পর বাড়িও এসেছিল। আমরাও ফোন করে বলেছিলাম আর ঝামেলায় থাকিস না। বাড়ি চলে আয়। বাড়ি এলে আমরা ওর কাছে ঘটনার কথা জানতেও চাই। ও বলে আমি তো নিজের ঘরে ছিলাম। কী হয়েছে ঠিক জানি না।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়েন অসিতের এক আত্মীয় ঝন্টু সর্দার। তিনিও সদ্য সংস্কৃতে স্নাতক পাশ করেছেন । তিনিও বলছেন, “একটা বইয়ের খোঁজে হস্টেলে গিয়েছিলেন অসিত। বই না পেলে বইটা কিনে সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে জমা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নেবে বলে ঠিক করেছিল। কারণ ক্লিয়ারেন্স না পেলে এম.এ তে ভর্তি হওয়া যাবে না। ওকে পুলিশ আগেই ডেকেছিল। বাড়ি আসার পর সে বিষয়ে আমরা ওকে জিজ্ঞেসও করেছিলাম। ও বলে বিশেষ কিছু জানে না। সেটাই পুলিশকে জানিয়েছিল ও।”