Panchayat Board Formation: ব্যালট খাওয়ার পর এবার সার্টিফিকেট খেয়ে ফেলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
Dinajpur: এদিন বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শেষ হলে বাইরে বেরিয়ে এসে বিজেপির সদ্য নির্বাচিত উপপ্রধান অভিযোগ তোলেন, তৃণমূলের বিজয়ী সদস্যরা নথি ছিঁড়ে ফেলেন। তাঁর অভিযোগ, এক মহিলা সদস্য সরকারি কাগজ ছিঁড়ে খেয়েও ফেলেন।
উত্তর দিনাজপুর: ব্যালট পেপার খাওয়া কাকে বলে, ভোটের গণনার দিন দেখিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের মহাদেব নামে এক তৃণমূল কর্মী। এবার সরকারি নথি খেয়ে ফেলার অভিযোগ। অভিযোগ, তৃণমূলের এক সদস্য সোনার নামে। রায়গঞ্জের কমলাবাড়ি-২ গ্রামপঞ্চায়েত। সেখানে বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠন চলাকালীন বিজেপির প্রধান পদপ্রার্থীর জয়সূচক সরকারি শংসাপত্র ছিঁড়ে খেয়ে ফেলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পরে যদিও এখানে বোর্ড গঠন করে বিজেপিই।
এদিন বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শেষ হলে বাইরে বেরিয়ে এসে বিজেপির সদ্য নির্বাচিত উপপ্রধান অভিযোগ তোলেন, তৃণমূলের বিজয়ী সদস্যরা নথি ছিঁড়ে ফেলেন। তাঁর অভিযোগ, এক মহিলা সদস্য সরকারি কাগজ ছিঁড়ে খেয়েও ফেলেন। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে সেই সোনা তোপনোর দাবি, বিজেপি যা বলছে সে কথার কোনও ভিত্তি নেই।
যদিও রায়গঞ্জের বিডিও জানান, ব্লকের ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই সুষ্ঠুভাবে বোর্ড গঠন হয়েছে। সরকারি কাগজ ছিঁড়ে ফেলা বা খেয়ে নেওয়ার কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেও জানান তিনি। এমনকী অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় বিজেপি নেতা গণেশচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। আমরাই বোর্ড গঠন করব। অথচ তা নিয়েও ভিতরে ঝামেলা করেছে। আমাদের বিজেপির প্রধান ঘোষণার পর কাগজ কেড়ে নিয়ে তৃণমূলের সদস্য খেয়ে ফেলেছে। আমরা প্রতিবাদে বিক্ষোভ। এরা চাকরি খায়, কয়লা খায়, ব্যালট পেপার খায়। আজ দেখলাম সরকারি কাগজ, যেটা বিডিওর কাছে জমা হবে সেটাও খায়।”