Condom in School: ভোটের পর স্কুল খুলতেই গুচ্ছ গুচ্ছ কন্ডোম পড়ে ক্লাস রুম থেকে বাথরুমে, চোখ কপালে শিক্ষকদের
Condom in School: বুধবার সকালে স্কুল খুলেই ওই দৃশ্য দেখতে পান শিক্ষকেরা। কী করবেন বুঝেই উঠতে পারেননি। তালা বাথরুমেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, প্রশ্ন উঠেছে।
উত্তর দিনাজপুর: ভোটের পর ব্যালট পড়ে থাকলে হয়তো খুব একটা অবাক হতেন না শিক্ষকরা। কিন্তু বারান্দা থেকে বাথরুম গুচ্ছ গুচ্ছ কন্ডোম পড়ে! এমন দৃশ্যে স্বভাবতই উদ্বিগ্ন শিক্ষক থেকে অভিভাবকরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রশাসনিক নজরদারির। ভোটের সময় কাদের হাতে স্কুলকে তুলে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের নারায়ণপুর এফপি স্কুলের ঘটনা। ভোটের জন্য গত কয়েকদিন ধরে বন্ধ ছিল স্কুল। বুধবার থেকে স্কুল খুলেছে। তারপরই চক্ষু চড়কগাছ শিক্ষক থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের। যে স্কুলে প্রতিদিন শিশুদের পঠন পাঠন চলে, সেখানে এমন কাণ্ড ঘটাল কারা!
অভিভাবকেরা এমন দৃশ্য দেখে শিশুদের স্কুলে পাঠাতেই ভয় পাচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, স্কুল ছুটি হওয়ার পর বহিরাগতদের আড্ডা চলে ভিতরে। মদ্যপ লোকজন পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে পড়ে বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, পুলিশ যদি টহল দেয়, তাহলে এসব কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। দ্রুত স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।
স্কুলের শিক্ষক মহম্মদ ফইরুদ্দিন জানান, এদিন সকালে স্কুল খুলেই ওই দৃশ্য দেখতে পান তিনি। তিনি বলেন, ‘কী করব বুঝে উঠতে পারেনি। বাথরুমেও একই অবস্থা।’ স্কুলের গেটে তালা দেওয়া থাকে বলে জানিয়েছেন তিনি। শিক্ষক জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষক আপাতত স্কুলে আসেননি। তাঁকে সবটা জানানো হয়েছে। যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ওই শিক্ষক।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ জালালউদ্দিন বলেন, ‘বস্তা বস্তা নিরোধের প্যাকেট পড়ে আছে। এই দৃশ্য দেখার পর আর কেউ সন্তানকে পাঠাতে চাইবে না।’ তালাবন্ধ বাথরুমের ভিতরে কারা কন্ডোম ফেলে গেল, সেটাও বুঝতে পারছেন না তাঁরা। সদ্য নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রাম রতন রাম বলেন, ‘ঘটনাটা খুবই খারাপ। এখন দেখতে হবে কে করেছে? স্কুলের সঙ্গে কথা বলে পুলিসকে সবটা জানানো হবে।’