Migrant Worker Death: গাজিয়াবাদে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার রায়গঞ্জের পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ, নেপথ্যে তৃণমূলের কোন্দল? উঠছে প্রশ্ন
Migrant Worker Death: সঞ্জয়বাবুর মায়ের অভিযোগ, সোমবার সকালবেলা রতন ফোন করে তাঁদের ২৬ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। এরপরই সন্দেহ শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরে রতনই আবার ফোন করে ছেলের মৃত্যুর খবর জানান।
রায়গঞ্জ: ভিনরাজ্যে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে কাজে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে।
মৃতের নাম সঞ্জয় শীল। তিনি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের রায়পুর এলাকার বাসিন্দা। গত শুক্রবার রতন বিশ্বাস নামে এলাকারই এক ব্যক্তির সঙ্গে গাজিয়াবাদে গিয়েছিলেন। সোমবার পরিবারের কাছে উত্তর প্রদেশ থেকে ফোন আসে সঞ্জয় আর নেই। জানা গিয়েছে, জলের ট্যাঙ্কের সিঁড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার তাঁর দেহ। আর ছেলের মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর মা দেবী রানি শীল। তিনি জানান, শুক্রবার সুস্থ সবল যে ছেলে বাড়ির বাইরে গেল সে কীভাবে আত্মহত্যা করতে পারে? ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি মৃতের পরিবারের।
সঞ্জয়বাবুর মায়ের অভিযোগ, সোমবার সকালবেলা রতন ফোন করে তাঁদের ২৬ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। এরপরই সন্দেহ শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরে রতনই আবার ফোন করে ছেলের মৃত্যুর খবর জানান।
দেবী রানি শীলের আরও দাবি, তিনি বিজেপি করেন। আর রতন বিশ্বাস এলাকারই তৃণমূল নেতা। সঞ্জয় এবং রতন দুজনই তৃণমূল কর্মী। মৃতের পরিবারের সন্দেহ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় কোনও ঝামেলা হতে পারে দুজনের মধ্যে সেই কারণেই গাজিয়াবাদে নিয়ে গিয়ে তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, উত্তর প্রদেশ থেকে সঞ্জয়ের দেহ নিয়ে আসতে নানা টালবাহানা করায় পরিবারের লোকের সন্দেহ আরও বেড়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।