Recruitment Scam: OMR গরমিলে নাম! কীভাবে হল বুঝতেই পারছেন না ‘ভাল ছাত্রী’ তৃণমূল নেত্রী
Recruitment Scam: উত্তর দিনাজপুর জেলার বালিজর হাই স্কুলে বাংলার শিক্ষিকা কবিতা বর্মণ। ২০১৬-র নিয়োগ তালিকায় ১২৮ নম্বরে নাম ছিল তাঁর।
কলকাতা: আদালতের নির্দেশে ওএমআর শিটের গরমিলের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের সেই ৯০৭ জনের তালিকা প্রকাশ হতেই যেন বেরিয়ে আসছে সর্ষের মধ্যে থাকা ‘ভূত’। ওএমআর শিটের প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসি-র সার্ভারের তথ্যের কোনও মিলই নেই! এমন অভিযোগে নাম জড়াল এক তৃণমূল নেত্রী। সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী নন, জেলা পরিষদের সভাধিপতিও ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের কবিতা বর্মণ। গরমিলের তালিকায় ৩০০ নম্বরে রয়েছে তাঁর নাম। ২০১৮ সাল থেকে সভাধিপতি পদে ছিলেন তিনি।
উত্তর দিনাজপুর জেলার বালিজোল হাই স্কুলে বাংলার শিক্ষিকা কবিতা বর্মণ। ২০১৬-র নিয়োগ তালিকায় ১২৮ নম্বরে নাম ছিল তাঁর। পরীক্ষায় পেয়েছিলেন ৫৫-র মধ্যে ৫৩। কিন্তু আদালতে পেশ হওয়া তালিকা বলছে, কবিতার চাকরিতে বেনিয়ম হয়েছে। তবে তৃণমূল নেত্রী বলছেন, তিনি পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পেয়েছেন। কেন তালিকায় নাম এল, তা তিনি বুঝে উঠতেই পারছেন না।
TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে কবিতা বলেন, আমরা পরীক্ষা দিয়েছিলাম, কাউন্সেলিং হয়েছে। সব নিয়ম-নীতি মেনেই পরীক্ষায় পাশ করে। স্বচ্ছভাবেই চাকরি পেয়েছি। তাহলে গরমিলের তালিকায় নাম কেন? কবিতার উত্তর, কী কারণে নাম দিল জানি ন না। ওরা বলতে পারবে।
কবিতার স্বামীও তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য। স্ত্রীর চাকরি ও সভাধিপতি হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, যোগ্যতা ছিল, তাই জেলা সভাধিপতি হয়েছেন। ভাল পরীক্ষা দিয়েছিল, তাই চাকরি হয়েছে। প্রভাব খাটানোর কোনও ব্যাপার নেই। কবিতা ভাল ছাত্রীও ছিল।
এসএসসি-র একাধিক নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ওএমআর-এ কম নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও অদৃশ্য যাদুবলে অনেক প্রার্থীর নম্বর বদলে গিয়েছে সার্ভারে। ভূরি ভূূরি প্রমাণ আদালতে ইতিমধ্যেই পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। গরমিলের কথা মেনে নিয়েছিল কমিশনও। এর আগে নবম-দশমের নিয়োগের ক্ষেত্রেও একইভাবে ওএমআর প্রকাশ করা হয় আদালতের নির্দেশে। সে ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল, কেউ কেউ সাদা খাতা জমা দিয়েও পেয়েছেন চাকরি।