Pakistan: ১২০০ ফুট উচ্চতায় একটি তারে ঝুলে ৬ শিশুর প্রাণ! উদ্ধারে সেনা ডাকল পাকিস্তান

Pakistan cable car: ১,২০০ ফুট উচ্চতায় এক কেবল কারে ঝুলছে ছয় শিশু-সহ আট জন। নীচে গভীর গিরিখাত। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম অংশের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের এক পাহাড়ি এলাকায়।

Pakistan: ১২০০ ফুট উচ্চতায় একটি তারে ঝুলে ৬ শিশুর প্রাণ! উদ্ধারে সেনা ডাকল পাকিস্তান
১২০০ ফুট উচ্চতায় আটকে ৬ শিশু-সহ ৮ জনImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Aug 22, 2023 | 2:26 PM

ইসলামাবাদ: ১,২০০ ফুট উচ্চতায় এক কেবল কারে ঝুলছে ছয় শিশু-সহ আট জন। নীচে গভীর গিরিখাত। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাটগ্রাম নামে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম অংশের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের এক পাহাড়ি এলাকায়। মঙ্গলবার (২২ অগস্ট) সকালে ওই শিশুরা স্কুলে যাওয়ার পথে এই বিপজ্জনক পরস্থিতিতে আটকে গিয়েছে। স্থায়ীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ওই দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় স্কুলে যাওয়ার পথে কেবল কার ব্যবহার করেই উপত্যকাটি অতিক্রম করে শিশুরা। এদিন আচমকা মাঝপথে একটি কেবল ছিঁড়ে যায়। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের এক সরকারি কর্তা জানিয়েছেন, কেবল কারটি বর্তমানে শুধুমাত্র একটি তারের সঙ্গে লেগে ঝুলে আছে।

ওই উচ্চতা থেকে শিশু ও বাকিদের কীভাবে উদ্ধার করা হবে, সেটাই এখন কর্তৃপক্ষের সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের এক কর্তা বলেছেন, “কেবল কারটি মাটি থেকে অন্তত ১০০০ থেকে ১২০০ ফুট উপরে ঝুলছে। আমরা খাইবার পাখতুনখোয়া সরকারকে একটি হেলিকপ্টার দেওয়ার জন্য আবেদন করেছি। হেলিকপ্টারের সাহায্য ছাড়া এই পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব নয়।” পাকিস্তানের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জনিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছে।

পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় সকাল সাতটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। তার প্রায় ৪ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সেনার এক উদ্ধারকারী দল। হেলিকপ্টার নিয়ে তারা ইতিমধ্যেই কেবল কারটির কাছাকাছি পৌঁছেছে। তবে, উদ্ধারকাজের অগ্রগতি সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এদিকে, কেবল কারে আটকে থাকা এক ব্যক্তি এক পাকিস্তানি টেলিভিশন চ্যানেলকে টেলিফোনে জানিয়েছেন, আটকে থাকা শিশুরা প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়েছে। যত সময় গড়াচ্ছে, তারা আশাহত হয়ে পড়ছে। তিনি বলেছেন, “আল্লার দোহাই, আমাদের সাহায্য করুন।” শিশুরা যে স্কুলে পড়ে, সেই স্কুলের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, ওই পাহাড়ি এলাকায় সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। তাই, প্রতিদিন প্রায় ১৫০ শিশু কেবল কারের মাধ্যমেই স্কুলে যায়।