Bangladesh-India: বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যের নতুন দিগন্তের উন্মোচন, এবার লেনদেন হবে রুপিতে
Rupee: প্রথম ধাপে এই যাত্রায় সামিল দুই দেশের চার ব্যাঙ্ক। এগুলি হল, বাংলাদেশের সোনালী ব্যাঙ্ক ও ইস্টার্ন ব্যাঙ্ক এবং ভারতের স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক।
ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারতের (Bangladesh-India) বাণিজ্যক্ষেত্রে নতুন পথচলা শুরু হল। খুলে গেল নতুন দিগন্ত। এখন থেকে দু-দেশের মধ্যে লেনদেন হবে রুপি-তে। ফলে দু-দেশের অর্থনীতি এবং আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যক্ষেত্রে নতুন দ্বারের উন্মোচন হল। দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যক্ষেত্রে শুরু হল রুপি (INR)-র ব্যবহার। আজ, ১১ জুলাই সকালে ঢাকার একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় এই কার্যক্রমের।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর থেকে ডলার সংকটের ফলে বিরূপ প্রভাব পড়ে বিশ্বজুড়ে। এদিন রুপি নিয়ে বাণিজ্য শুরুর সূচনায় ঢাকার অনুষ্ঠানে ডলার সংকট ও অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির সাম্প্রতিক দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে নিজস্ব মুদ্রা ব্যবহারের সম্ভাব্য সুফল নিয়েও কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, “কোভিডের পর থেকে রিজার্ভের উপর অতি নির্ভরতা কমাতে দীর্ঘদিন ধরে বিকল্প খুঁজছিল বাংলাদেশ। এবার রুপিতে এলসি খুলতে পারবেন দেশের ব্যবসায়ীরা। এতে নির্ঝঞ্ঝাট হবে পেমেন্ট, বাড়বে পণ্য আমদানি রফতানি।” ভারতের সঙ্গে ব্যবসার উন্নতির প্রসঙ্গ তুলে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর আরও বলেন, “বাংলাদেশের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার হল ভারত। ভারত থেকে বাংলাদেশ বছরে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে, আর ভারতে রফতানি করে ২০০ কোটি ডলারের পণ্য। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রুপি ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা চলছিল, ব্যবসায়ীরাও এই দাবি করে আসছেন অনেক দিন ধরে, এবার তা বাস্তব রূপ পেল। এখন ডলারের পাশাপাশি রুপিতেও বাণিজ্য হবে।”
রুপিতে লেনদেন প্রসঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনের প্রণয় ভার্মা বলেন, “আন্তঃবাণিজ্যে রুপিতে লেনদেনের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ কিছুটা কমবে। লেনদেনের খরচও কমে আসবে। এই প্রক্রিয়ায় দুই দেশই উপকৃত হবে। একইসঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। আগামীতে একটি উদাহরণ হবে এটি।”
ঢাকার এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলির আধিকারিক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব-সহ শীর্ষ ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক ও বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জানানো হয়, প্রথম ধাপে এই যাত্রায় সামিল দুই দেশের চার ব্যাঙ্ক। এগুলি হল, বাংলাদেশের সোনালী ব্যাঙ্ক ও ইস্টার্ন ব্যাঙ্ক এবং ভারতের স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। এই ব্যাঙ্কগুলি উভয় দেশের মধ্যেই রুপিতে বাণিজ্য করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলিও ধীরে-ধীরে সামিল হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাঙ্ক আধিকারিক ও ভারতের হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।