Bangladesh News: ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ, ঢাকায় দিনভর বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ

Dhaka clash: এদিন সকাল থেকে বিএনপি-র কর্মসূচি ঘিরে যেভাবে অশান্ত হয়ে উঠেছে ঢাকা, সেটা ২০০৬ ও ২০১৩ সালের হিংসার ঘটনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। এখনও নির্বাচনের ৫ মাস দেরি রয়েছে। তার আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ঢাকার রাজপথ।

Bangladesh News: ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ, ঢাকায় দিনভর বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ
বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত ঢাকা।Image Credit source: টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2023 | 5:13 PM

ঢাকা: ফের পুলিশ ও বিরোধী দলের সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে উঠছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। BNP-র অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজধানী ঢাকা (Dhaka)। ধোলাইখাল, মাতুয়াইল, গাবতলী, যাত্রাবাড়ি ও উত্তরা-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি-র অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের নেতা-সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। বিএনপি-র বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। তারপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ৩টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করেও বিএনপি নেতা-কর্মী ইট-পাথর ছোড়ে বলে অভিযোগ। বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করতে পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। অশান্তির জেরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুপাশেই যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত এদিনের হিংসার ঘটনায় ৯০ জনকে আটক করা হয়েছে। বিএনপি-র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আটক ও আহত বিএনপি-র আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে দেখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর এপিএস-কে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখগুলোয় অবস্থান কর্মসূচি পালনের কর্মসূচি নেয় বিএনপি। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেই কর্মসূচি প্রতিহত করতে পাল্টা রাস্তায় নামে শেখ হাসিনার পুলিশ। তারপর ধোলাইখাল, মাতুয়াইল, গাবতলী, যাত্রাবাড়ি ও উত্তরা-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা মিছিল করে এগোতে গেলেই পুলিশ বাধা দেয় এবং দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তারপর ঢাকা মহানগর থেকে উত্তর বিএনপি-র আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়কে আটক করে পুলিশ। তখন পরিস্থিতি আরও সরগরম হয়ে ওঠে। বিএনপি-র বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা-সহ অনেককে আটক করেছে পুলিশ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল পুলিশ। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় জলকামান, প্রিজন ভ্যান প্রস্তুত ছিল। গাড়ি নিয়ে উপস্থিত ছিলেন এপিসি। এর মধ্যেই দক্ষিণ ও পূর্ববঙ্গের সঙ্গে রাজধানীর প্রবেশদ্বার ধোলাইখালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। মাতুয়াইলেও চলে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষ। গাবতলী থেকে বিএনপির ৩০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত প্রায় ৯০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে গয়েশ্বর রায়-সহ কয়েকজনকে ছেড়েও দিয়েছে পুলিশ।

তবে এদিন সকাল থেকে বিএনপি-র কর্মসূচি ঘিরে যেভাবে অশান্ত হয়ে উঠেছে ঢাকা, সেটা ২০০৬ ও ২০১৩ সালের হিংসার ঘটনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। যদিও প্রতিবারই নির্বাচন ঘনিয়ে এলে অশান্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। এখনও নির্বাচনের ৫ মাস দেরি রয়েছে। তার আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ঢাকার রাজপথ।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সরকার দলীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ঢাকায় সমাবেশ করে এবং দু-পক্ষের সমাবেশেই লক্ষ-লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে। সমাবেশে বিএনপি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তারা কোনও নির্বাচনে অংশ নেবে না। অন্যদিকে, বিরোধী দলের পদত্যাগের দাবি খারিজ করে দিয়ে আওয়ামী লীগ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোনও দল আসুক আর না আসুক এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। স্বাভাবিকভাবেই দু-পক্ষের হুঁশিয়ারি-পাল্টা হুঁশিয়ারিতে অশান্তির আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন দুই দলের সমঝোতার জন্য লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।