সোনাই ঘোষের মিষ্টিতে ৬০ বছর ধরে মজে বাংলাদেশবাসী

সনাতন ঘোষ এখন আর বেঁচে নেই। ১৯৯৬ সালে মৃত্যু হয় তাঁর। এর পর থেকেই এই দোকান চালাচ্ছেন সনাতনের ছেলে সুখদেব ঘোষ। তাঁর আমলে মিষ্টির বৈচিত্র বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বিক্রির বহরও।

সোনাই ঘোষের মিষ্টিতে ৬০ বছর ধরে মজে বাংলাদেশবাসী
সনাতন ঘোষের দোকানের মিষ্টি। Image Credit source: Prothom Alo
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2023 | 7:36 PM

নারায়ণগঞ্জ: প্রায় ৬০ বছর আগের কথা। বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের উকিলপাড়া এলাকায় মিষ্টির দোকান খোলেন সনাতন ঘোষ। সেই দোকানের নাম দেওয়া হয় জগৎবন্ধু মিষ্টান্ন ভান্ডার। তখন থেকেই সুনামের সঙ্গে চলছে বাংলাদেশের এই মিষ্টির দোকান। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি এবং দই খেতে রোজ প্রচুর মানুষ ভিড় করেন এই দোকানে। সনাতন ঘোষ ওই এলাকায় সনাই ঘোষ নামেও খ্যাত। অনেকেই এই দোকানকে বলেন সনাই ঘোষের দোকান।

যদিও সনাতন ঘোষ এখন আর বেঁচে নেই। ১৯৯৬ সালে মৃত্যু হয় তাঁর। এর পর থেকেই এই দোকান চালাচ্ছেন সনাতনের ছেলে সুখদেব ঘোষ। তাঁর আমলে মিষ্টির বৈচিত্র বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বিক্রির বহরও। এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালে কলকাতায় এসে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি দেখেন তিনি। সেই বিষয়টি এসে তাঁর বাবা সনাতন ঘোষকে জানালেও তিনি তেমন আমল দেননি বলে অভিযোগ। বাবার মৃত্যুর পর সুখদেব যখন ব্যবসার দায়িত্ব নেন, তখন তিনি মিষ্টির পদ বাড়ানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেন। এখন প্রতিদিন সাড়ে ৭ থেকে ৮ কুইন্টাল দুধের মিষ্টি তৈরি হয় এই দোকানে।

এখন লালমোহন, ক্ষীরের চপ, ছানার জিলিপি, রসগোল্লা, কালোজাম, চমচম, কাঁচাগোল্লা, বিভিন্ন রকমের সন্দেশ ছাড়াও একাধিক মিষ্টি রয়েছে সোনাই ঘোষের দোকানে। সেখানকার সাধারণ মানুষ তৃপ্তি করে খান সেই মিষ্টি। এখন ওই দোকানে ৬ জন কারিগর কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে। সকাল থেকেই জগৎবন্ধু মিষ্টান্ন ভান্ডারে থাকে ক্রেতাদের লম্বা লাইন।