Child Birth: ব্রিটিশদের টেক্কা দিয়ে শিশু জন্মহারে রেকর্ড ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের

UK child birth: অধিকাংশ ব্রিটিশ মহিলা বর্তমানে কর্মরত। ইদানিংকালে জীবনধারণের খরচও অতিরিক্ত বেড়েছে। তার ফলে ব্রিটিশ মহিলারা পেশাগত ও আর্থিক কারণে সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

Child Birth: ব্রিটিশদের টেক্কা দিয়ে শিশু জন্মহারে রেকর্ড ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের
প্রতীকী ছবি।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2023 | 10:27 PM

লন্ডন: ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে গত দু-দশক ধরেই শিশু জন্মের (Child birth rate) হার নিম্মগামী। তবে এবার শিশু জন্মের হারে এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল। শিশু জন্মের হারে ব্রিটিশ দম্পতিদের টেক্কা দিয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত দম্পতি (Indian-origin couple)। আবার গত বছর ব্রিটিশ দম্পতিদের সন্তান জন্মের হার গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বলে জাতীয় পরিসংখ্যান রিপোর্টে ধরা পড়েছে।

ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান রিপোর্ট অনুসারে, গত বছর ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুদের মধ্যে ২৩.১ শতাংশের বাবা-মা ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত নয়। ২০০৮ সালে অবশ্য এই হার ছিল, ১৬.৭ শতাংশ। তারপর ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। ২০২১ সালে এই হার ছিল ২১.৫ শতাংশ। আবার ব্রিটিশ দম্পতিদের সন্তান জন্মের হার ২০২১ সালে ছিল ৬২ শতাংশ। সেটি কমে ৬০.৩ শতাংশ হয়েছে। ২০০২ সালের পর এই হার সর্বনিম্ন।

পরিসংখ্যানে আরও দেখানো হয়েছে, অ-ব্রিটিশ শিশু জন্মানোর সংখ্যা একবছরের মধ্যে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩০৮ থেকে বেড়ে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯৫৩ হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এটাই ছিল সর্বোচ্চ। আবার ২০২১ সালে অ-ব্রিটিশ শিশুদের তালিকায় ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা ছিল তৃতীয় স্থানে। শীর্ষে ছিল পাকিস্তান। এক বছরের মধ্যেই ২০২২ সালে শিশু জন্মের হারে শীর্ষে উঠে এসেছে ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা।

ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত শিশুর জন্মের হার কমে যাওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছে ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অধিকাংশ ব্রিটিশ মহিলা বর্তমানে কর্মরত। ইদানিংকালে জীবনধারণের খরচও অতিরিক্ত বেড়েছে। তার ফলে ব্রিটিশ মহিলারা পেশাগত ও আর্থিক কারণে সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

এদিকে, ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত শিশুর জন্মের হার অ-ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত শিশুদের তুলনায় কমে যাওয়ার প্রভাব রাষ্ট্র ও সমাজের উপর পড়বে বলে সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষত, ব্রিটেনের অর্থনীতি ও শ্রম বাজারে এর প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া সাধারণ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।