TV9 Explained: বিশ্লেষণ: ইজরায়েল-গাজ়া সন্ত্রাসের পিছনে রয়েছে কোন কোন কারণ?
Middle East: গত বছর ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যে লড়াই চলছিল, সেই সময়সীমাকেও অতিক্রম করেছে সাম্প্রতিক এই দ্বন্দ্ব।
ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে গাজ়া অঞ্চলে যে ১১ দিনেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চলছে। গত বছর ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যে লড়াই চলছিল, সেই সময়সীমাকেও অতিক্রম করেছে সাম্প্রতিক এই দ্বন্দ্ব। ইজরায়েলি বিমান হানায় ইরান সমর্থিত প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন প্যালেস্তেনিয়ান ইসলামিক জিহাদ শীর্ষ কমান্ডার সহ ১১ জন মারা গিয়েছেন। অন্যদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইজরায়েলের বিভিন্ন শহরে রকেট হামলা চালিয়েছে, যাতে বাসিন্দাদের জীবন বিপন্ন হয়েছে। এই দ্বন্দ্বের কারণ জেনে নেওয়া যাক…
আড়ালে হামাস
প্যালেস্তাইনের হামাস গ্রুপ গাজ়াতে হওয়া এই জঙ্গি কার্যকলাপের পিছনে রয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে ইরান এই হামাস তথা এই বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সমর্থন করছে। ইরানের থেকে পাওয়ার অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্রের জোগানে ইজরায়েলের ওপর রকেট হামলা করতেও পিছপা হচ্ছে না এই জঙ্গি সংগঠনগুলি। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্যালেস্তাইন কর্তৃপক্ষের থেকে গাজ়ার নিয়ন্ত্রণ হাতে তুলে নেয় হামাস। হামাসের নেতৃত্বেই বিভিন্ন ইসলামিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি আরও বেশি পরিমাণে লালিত-পালিত হয়েছে এবং সব ধরনের সহায়তা পেয়েছে।
ইরানি যোগাযোগ
ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যাবতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গি কার্যকলাপে মদত রয়েছে ইরানের। ইসলামিক জিহাদিদের প্রশিক্ষণ, অর্থ ও যাবতীয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জোগান দেয়ে ইরান। তবে সংঘর্ষ অথবা যুদ্ধে ব্যবহৃত যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হয়। বিগত কয়েকবছরে উচ্চ ক্ষমতার রকেট তৈরি করা হয়েছে, যা থেকে মধ্য ইজরায়েলের তেল আভিভ শহুরে এলাকায় আক্রমণ করা সম্ভব হবে। গাজ়াকে কেন্দ্র করে যাবতীয় সন্ত্রাসাবাদী কার্যকলাপ চললেও বেইরুট ও দামাস্কাসেও ইসলামিক জিহাদি নেতারা রয়েছেন। শুক্রবার গাজ়াতে ইজরায়েল যখন অভিযান শুরু করেছিল তখন জেহাদিদের শীর্ষনেতা জি়য়াদ অল নাখালাহ ইরানি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে তেহরান গিয়েছিলেন।
ইজরায়েলের লক্ষ্য কমান্ডাররা
এই প্রথমবার গাজ়াতে জঙ্গি নেতাদের ওপর ইজরায়েল হামলা করেছে, এমনটা নয়। শুক্রবারের অভিযানে তাইসির অল জবারি নামের জঙ্গিনেতাকে নিকেশ করেছে ইজরায়েল। ২০১৯ সালে অভিযানে বাহা আবু এল আত্তা নামে অপর জঙ্গি নেতাকে খতম করেছিল ইজরায়েল। এল আত্তার মৃত্যুর পর অল জবারিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪ তে গাজ়া স্ট্রিপে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটা ইজরায়েলের অন্যতম বড় সাফল্য। ৫০ বছর বয়সী অল জবারি ইসলামিক জিহাদ সংগঠন ‘মিলিটারি কাউন্সিল’-এর সদস্য ছিলেন। গত সপ্তাহেই বাসম অল সাদি নামের এক সিনিয়র নেতাকে গ্রেফতার করেছিল ইজরায়েল বাহিনী। ইজরায়েলি মিলিটার এয়ার ডিফেন্স ফোর্সের প্রাক্তন প্রধান ভিকা হাইমোভিচ জানিয়েছেন, ‘কমান্ডারদের আক্রমণ করলে তার প্রভাব জঙ্গি সংগঠনে পড়বেই। ফলে জিহাদিরা সমস্যার মধ্যে পড়বেন।’