রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের কাজ করে ইনসুলিন। অনেক সময় অগ্ন্যাশয় থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি হয় না। বা তৈরি হলেও তা খুব কম। তখনই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিস সাধারণত দু রকমের হয়। টাইপ ১ আর টাইপ ২। টাইপ ১ ডায়াবেটিসের কারণ জিন হলেও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের কারণ হল আমাদের জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাস।
বর্তমানে প্রচুর হবু মায়ের গর্ভাবস্থায় হঠাৎই দেখা দিচ্ছে সুগারের সমস্যা। আর এই সমস্যার নাম হল জেস্টেশনাল ডায়াবিটিস। যে কোনও গর্ভবতী মহিলা এই সমস্যার কবলে পড়তে পারেন। যে কারণে গর্ভাবস্থায় নিয়মিত সুগার চেক করাও জরুরি।
শুধুমাত্র ওষুধ খেয়ে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না। এর জন্য নিয়মিত ভাবে অল্প শরীরচর্চা আর ডায়েটে পরিবর্তন আনতে হবে। অবশ্যই তা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে। কারণ হবু মায়ের খাবারের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসলে তবেই সুস্থ থাকবে মা এবং ভাবী সন্তান। যে কারণে গর্ভাবস্থায় লিন প্রোটিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
তাই সময় থাকতে থাকতে হবু মায়ের পাতে ভরপুর পরিমাণে চিকেন, ডিম, মাছ, ডাল, সোয়াবিন এবং বিনসের মতো লিন প্রোটিন রাখুন। এতেই দেখবেন তাঁর স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে।
ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ সমৃদ্ধ মাছ- মাংস এসব বেশি করে খেতে হবে। ব্রকোলি, বাঁধাকপি, পেঁপে, উচ্ছে এসব বেশি করে খেতে হবে। জেস্টেশনাল ডায়াবিটিসে প্রচুর সবজি খাওয়ার প্রয়োজন
অলিভ অয়েল, পিনাট বাটার, বিভিন্ন বাদাম, বীজ এসবই বেশি করে খাওয়া শুরু করুন। এতে সুগার স্বাস্থ্য দুই থাকবে নিয়ন্ত্রণে।