আমাদের রোজকার পাতে মাছ বা চিকেন এই দুই এর মধ্যে কোনও একটা থাকবেই। ভাতের সঙ্গে মাছ কিংবা মাংস মেখে খাওয়ার মজাটাই আলাদা।
যতই বিরিয়ানি, পোলাও পাতে পড়ুক না কেন বাঙালির কাছে মাছের ঝোল আর ভাত হল একরকম আরাম। তাই সপ্তাহে একদিন নিরামিষ খেলেও বাকি দিন মাছ বা মাংস চাই।
এই প্রজন্মের অধিকাংশই মাছ খেতে বিশেষ পছন্দ করে না। অগ্রাধিকার পায় মাংস। ফলে বাড়িতে একটা ঠান্ডা লড়াই চলতেই থাকে। অনেক মা-বাবার ধারণা মাছ না খেলে পুষ্টির ঘাটতি থেকে যায়।
প্রোটিন হল আমাদের শরীরের ‘বিল্ডিং ব্লক’। এই ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্টের সাহায্যেই তৈরি হয় কোষ। এছাড়াও পেশি তৈরি করা থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানো এই সব কাজ একা হাতে সামলায় প্রোটিন।
প্রোটিনের মধ্যে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা আমাদের শরীর গঠনের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। মাছ আর মাংসের মধ্যে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন। সামুদ্রিক মাছে এই প্রোটিনের পরিমাণ বেশি
১০০ গ্রাম সামুদ্রিক মাছ থেকে যেখানে ৪২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় সেখানে ১০০ গ্রাম মাংস থেকে মাত্র ২৪ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। তবে আমরা রোজকার যে সব মাছ খেয়ে থাকি অর্থাৎ মিষ্টি জলের মাছে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক কম।
তবে মাছ-মাংস একসঙ্গে খেলেই যে অনেকটা পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যাবে এমন নয়। বরং এতে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হবে। সেই সঙ্গে হজমও ঠিকমতো হবে না। সুস্থ থাকতে চাইলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খান। সব একসঙ্গে নয়।
মাছ-মাংস বেশি খেলে সেখানেও মুশকিল। তাই খাওয়ার সময় মেপে খান। প্রোটিনে ওভারলোড হওয়া কাজের কথা নয়। ৫০ কেজি ওজন হলে দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা ৪০ গ্রাম। এভাবেই হিসেব করে নিতে হবে। আর বেশি তেল মশলায় রান্না নয়।